কলকাতা: সন্দেশখালি নিয়ে যখন বিরোধীরা পথে, তখন তৃণমূলের হাতিয়ার চোপড়া। সেখানে বিএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি বিশাল ড্রেনের মাটি খোঁড়ার সময় তার তলায় চাপা পড়ে চার শিশুর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় বিএসএফ দায়ী বলে তৃণমূল রাস্তায় নেমেছে। ঘটনাস্থলে শাসকদলের নেতা-কর্মীরা অবস্থান চালাচ্ছেন বিএসএফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে। তৃণমূল এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফা দাবি করেছে। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চোপড়া যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে।
শাসকদলের তরফে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পরে বলেন, আমরা রাজ্যপালকে অবিলম্বে চোপড়ায় যেতে বলেছি। তিনি তো বিজেপির অনুরোধে কথায় কথায় যেখানে সেখানে চলে যান। বিজেপির কথা শুনেই তিনি কেরলে সব কাজ ফেলে সন্দেশখালিতে ছুটে গিয়েছেন। তাতে কোনও অসুবিধে নেই। আমরা তাঁকে সহযোগিতা করেছি। আমরা আশা করব, একইভাবে তিনি চোপড়াতেও যান। বিএসএফ সেখানে কী করছে, তা নিজের চোখে দেখে আসুন। তদন্ত করুন। বিএসএফ গ্রামবাসীকে সতর্ক করেনি, তারা চূড়ান্ত গাফিলতি করেছে। চন্দ্রিমা বলেন, রাজ্যপাল চোপড়ায় যাবেন বলে কথা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নেশামুক্তি কেন্দ্রের জানলা ভেঙে পালাল আবাসিকরা
আসে সন্দেশখালির প্রসঙ্গও। সেখানকার ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ডকে একতরফা বলে দাবি করেন চন্দ্রিমা। তিনি বলেন, আমরা চাই, রাজ্যপাল রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলুন। শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ওই রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট। রাজ্যপাল প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলের সঙ্গে কথা বলুন। গোটা ঘটনার পিছনে চক্রান্ত রয়েছে বলে আমরা মনে করছি। প্রতিনিধিদলে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তিনি বলেন, রাজ্যপাল আমাদের বলেছেন, বিজেপির দুষ্কৃতীরা জেলায় জেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সে ব্যাপারে যেন আমরা তাঁকে সময়ে সময়ে অবহিত করি।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: