কলকাতা: শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই এখন চোখ রাঙাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস (Adenovirus)। বিশেষ করে শিশুদের (Child)মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তবে এটা প্রথম না, এই ভাইরাসের (Virus) প্রকোপ ছিল অনেক আগের থেকেই। কিন্তু এই বছরই এর ভয়াবহতা আগের থেকে বেড়েছে। শিশুদের শরীরে এই ভাইরাসের ঝুঁকি বেশি হলেও, বড়দের শরীরেও কাবু করতে পারে এই ভাইরাস।
চিকিৎসকদের মতে, শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও সমান ভাবে এই রোগের কবলে পড়তে পারেন । গলাব্যথা দীর্ঘ দিন ধরে কাশি এই সমস্ত কিছুই অ্যাডিনোভাইরাস উপসর্গ। তবে শিশুদের শরীরে এই রজার বাসা বাঁধলে যেমন মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে, বড়দের ক্ষেত্রে তেমন কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তাঁদের মাইল্ড ইনফেকশন হচ্ছে। যা আবার কিছু দিনের মধ্যে আবার সেরে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee Live: মেঘালয়ে উন্নয়ন করবে একমাত্র তৃণমূলই, বললেন মমতা
বড়রা কিভাবে সতর্ক থাকবেন?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন,বড়দের শরীরে এই রোগ বাসা বাধলে তা থেকে ছোটরাও আক্রান্ত হতে পারেন। তাঁদের মতে, এই রোগের চরিত্র খানিকটা কবিদের মতো। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির সংস্পর্শে অন্য কোনও সুস্থ ব্যক্তি এলে তিনিও এই রোগে আক্রন্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই কারণেই যাঁদের বাড়িতে শিশু রয়েছে তাঁদের উচিত বাড়তি সতর্ক মেনে চলা। শিশুদের মায়েদের এ রকমের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে শিশুর সঙ্গে না ঘুমিয়ে আলাদা ঘরে ঘুমোতে হবে। এছাড়াও ভিড়ভাড় এড়িয়ে চলুন। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তবেই শিশুর সঙ্গে মেলামেশা করুন। এই সময় মাস্ক ব্যবহার করলে বেশি ভালো হয়।
উল্লেখ্য, এই রোগের চিকিৎসার তেমন কোনও ওষুধ নেই। সাপটিভ ট্রিটমেন্ট দিয়েই চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যেই শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে যে সমস্ত শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের অক্সিজেনের জোগান দিতে হচ্ছে, প্রয়োজনে ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে রোগীকে। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, বাবা-মাকে সতর্ক থাকতে হবে। একইসাথে স্কুল গুলিতে নজরদারি বাড়াতে হবে। কোনও শিশুর জ্বর-সর্দি কাশি হলে তাকে যেন বাড়ি পাঠানো হয়। এবং কয়েকদিন ওই শিশুকে সাঁতার বা টিউশন ক্লাসে না পাঠানোই উচিত।