হাওড়া: বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) সঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) বাকবিতণ্ডায় জড়ালেন। শুক্রবার সন্ধের সময় দ্বিতীয় হুগলি সেতুর (Second Hooghly Bridge) উপর গাড়ি থামিয়ে বচসা জড়িয়ে পড়েন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল সুপ্রিয়কে লক্ষ্য করে অনর্গল কুকথা বলতে থাকেন সাংসদ। তৃণমূল মন্ত্রী প্রতিবাদ করেন। বিজেপি সাংসদকে ক্ষমা চাইতে বলেন। বিজেপি সাংসদ ক্ষমা না চাওয়ায়। দুই হেভিওয়েটের মধ্যে বচসা বেধে যায়। ঘটনায় হুগলি ব্রিজের উপর তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে হাওড়া সিটি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হয়।
বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগ, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপরে মেরামতির কাজ চলায় এমনিতেই রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে রয়েছে৷ তার মধ্যেই হুটার বাজিয়ে প্রচণ্ড দ্রুত বেগে গাড়ি চালিয়ে কলকাতা থেকে হাওড়া দিকে আসছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর ফলে দুই বাইক আরোহী পড়ে যায়। বাবুল সুপ্রিয় নিজেই গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন বাড়িতে। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করে। আটকানোর পর কেন এত জোরে হুটার বাজিয়ে যাচ্ছিলেন প্রশ্ন করেন তৃণমূল মন্ত্রী। ট্রাফিকের যে স্পিড লিমিট রয়েছে, তা মানছেন না অভিজিৎ। অভিযোগ, তা শুনেই তাঁকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করে বসেন বিজেপি সাংসদ। সেই নিয়ে কথা দুজনের মধ্যে বচসা বাধে। বাবুল ক্ষমা চাইতে বলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। কিন্তু তিনি ক্ষমা চাননি।
আরও পড়ুন: সৌরভের মেয়ে সানার গাড়িতে বাসের ধাক্কা, আটক বাস চালক
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ও কর্মীরা। অভিজিতের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা পুলিশকর্মীদের বলে, বাবুলকে এখনই গ্রেফতার করতে। বাবুল তার প্রতিবাদ করে বলেন যে, এভাবে কখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায় না। উনি কোনও বিচারপতিও এখন নন। ফলে এই ধরনের নির্দেশ অত্যন্ত আপত্তিজনক। উত্তেজনা একটা সময় চরমে ওঠে। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে নিজের দোষ স্বীকার করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
অন্য খবর দেখুন
The post দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজে অভিজিৎ-বাবুলের বচসা first appeared on KolkataTV.
The post দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজে অভিজিৎ-বাবুলের বচসা appeared first on KolkataTV.