কলকাতা: দিল্লির পর দাপটের সঙ্গে পঞ্জাব দখল করেছে আম আদমি পার্টি। কংগ্রেসে দখলে থাকা পঞ্জাবে জিতে উজ্জীবিত আপের টার্গেট এবার গুজরাত, হিমাচলপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্য। সূত্রের খবর, বাংলাতেও সংগঠন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে আপ হাইকম্যান্ড। পঞ্চায়েত ভোটেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে আপ। বাঁকুড়া, বর্ধমান, বারাসত, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়ে আপে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে।
কলকাতায় সংগঠন বিস্তারের পাশাপাশি জেলায় জেলায় কমিটি গঠনের কাজেও জোর দিয়েছে আম আদমি পার্টি। যদিও আপকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ এ রাজ্যের শাসকদল। আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিবাল সরাসরি বাংলার নাম না নিলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নোংরা রাজনীতির অবসানে দেশের প্রতিটি রাজ্যের মানুষের কাছে যাবে আপ। রবিবার বিকেলে গিরিশ পার্ক থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত পদযাত্রাও করে আম আদমি পার্টি।
আপের পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, বাংলায় তৃণমূল স্তর থেকে সংগঠন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়াই মূল লক্ষ্য। রাজ্যের ১৫টি জেলায় সদস্য সংগ্রহের কাজ করছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ১৫টি জেলাতেই কমিটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এর পর নিবিড় জনসংযোগের পথে হাঁটবেন তারা। অনেকদিন আগেই এ রাজ্যে পদার্পণ করেছে আপ। একাধিক জেলায় আপের সদস্যও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: AAP Poster: মিসড কলেই সদস্য, আপের পোস্টার এবার বারাসতে
আপ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘আপের কোনও প্রভাব বাংলায় পড়বে না। এখানে যে কেউ যে কোনও জায়গায় গিয়ে সমাবেশ করতেই পারে। কিন্তু তাতে বিশেষ কোনও প্রভাব পড়ে বলে আমার মনে হয় না।’ এর পাল্টা সঞ্জয় বসু বলেন, ‘মানুষ গ্রহণ করলে আমরা বাংলায় থাকব। নাহলে থাকব না। পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৪৮ শতাংশ ভোটই পেয়েছিল তৃণমূল। আমরা পঞ্জাবে পেয়েছি ৫১ শতাংশ ভোট। একথা মনে রাখা উচিত, বাংলার অধিকাংশ মানুষই তৃণমূলের বিপক্ষে।’