ধূপগুড়ি: বনকর্মীর গুলিতে প্রাণ হারালেন বনবস্তির এক বাসিন্দা। মৃতদেহ নিজেদের হেফাজতে রেখে তদন্তের দাবি তুলল বনবস্তি এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তাদের সামনেই দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখালেন বনবস্তি বাসিন্দারা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে, ধূপগুড়ি ব্লকের ঝারআলতা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খুট্টিমারি এলাকায়।
স্থানীয়দের দাবি, কোনওমতেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিতে দেওয়া হবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত বনদফতরের আধিকারিকরা এসে ঠিক কী কারনে গুলি করা হল, তার উত্তর না দেন। মৃত ওই ব্যক্তির নাম জিতেন রাভা (৪৪)। স্থানীয়দের দাবি, ওই ব্যক্তি জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর উপর বনকর্মীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে উদ্ধার করে গাড়িতে তোলার সময় মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ ওয়াংদে ভুটিয়া, ধূপগুড়ি থানার আইসি সহ ধুপগুড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছয়। এদিকে পরিস্থিতি আরও বেগতিক হতেই ধুপগুড়ি থানার তরফে ডেকে নেওয়া হয় বিরাট র্যাফ বাহিনীকে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | বিজেপির মহিলা প্রার্থী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য, বিতর্কে তৃণমূল নেতা
বনবস্তিবাসীদের দাবি, জঙ্গলের মধ্যে বসবাসকারী মানুষদের বংশানুক্রমে জঙ্গলের কাঠ কুড়িয়ে আসছে। যদি তাঁকে অপরাধী মনে হয়, তাহলে গ্রেফতার করা যেত। কিন্তু নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির দেহ তাঁর নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
রভি রাভার দাবি, কেন গুলি চালানো হল, বনকর্মীদের মধ্যে কে গুলি চালিয়েছে, অবিলম্বে শনাক্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হব। পাশাপাশি মৃতের পরিবারের একজনকে চাকরি ও আর্থিক সহযোগিতা করতে হবে। না হলে দেহ নিয়ে জাতীয় সড়কে বিক্ষোভে বসবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বনদফতরে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।