নরেন্দ্রপুর: এক যুবককে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর (Narendrapur) থানার কুমড়োখালি এলাকার এক আবাসনের গেটের সামনে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকার মানুষ। খবর দেওয়া হয় ওই যুবকের আত্মীয়ের কাছে। তড়িঘড়ি ওই যুবককে নিয়ে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। খুনের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
জানা গিয়েছে, যুবকের নাম শাহিদ মন্ডল। পেশায় একজন ব্যবসায়ী (Businessman)। ওই যুবক কুমড়োখালির কুসুম্বা মন্ডলপাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে পরিচিত। সোমবার রাত বারোটা একটা নাগাদ ওই যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় আবাসনের গেটের সামনে পড়ে থাকতে দেখে এলাকার মানুষ। ওই এলাকার এক যুবক জানিয়েছেন রাত বারোটা নাগাদ তিনি বাইক নিয়ে যাওয়ার পথে দেখেন কয়েকজনের সঙ্গে ওই যুবকের তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। ওই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানান, একটা শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবক পড়ে আছে। ঘটনা স্থলে এসেছেন পুলিশ বিষয়টা তদন্ত করে দেখছেন। তবে মৃত যুবকের মা জানান তার ছেলেকে প্রথমে গুলি করে খুন তারপরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরও গুরুত্ব বাড়ল, বীরভূমের জেলা সভাধিপতি হচ্ছেন কাজল শেখ
স্থানীয় সূত্রে খবর, অনেক রাতে কামালগাজির ফরতাবাদ এলাকায় গুলির চলার আওয়াজ মেলে। রাস্তায় বেরিয়ে দেখা যায়, এক যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। বাসিন্দারা তড়িঘড়ি নরেন্দ্রপুর থানায় খবর দেন। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত যুবকের শাহিদ মণ্ডল তাঁর বাবা শাহজাহান মণ্ডলের আলুর ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। ব্যবসার বকেয়া টাকা সংগ্রহে বেরিয়েছিলেন তিনি। সারাদিন বাবার সঙ্গে গোডাউনে ব্যবসা করতেন। বিকেলের পর যেতেন টাকা আদায় করতে। এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যবসায়ীক শত্রুতা নাকি অন্য কোনও কারণেই খুন তাও দেখা হচ্ছে।