কলকাতা: জটিলতার অবসান৷ চলতি সপ্তাহেই শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আগামী ৭ অক্টোবর দুপুর ১২টার আগে শপথ নেবেন তিনি। বিধায়ক হিসাবেই বিধানসভায় শপথ নেবেনে তৃণমূল নেত্রী৷ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বিধানসভায় এসে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। এ বিষয়ে সোমবার সন্ধেয় রাজ্যপালকে জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জয় পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটে পর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। এ বার বিধায়ক পরে শপথ নিতে হবে মমতাকে।
মমতার শপথ কোথায় হবে, তা নিয়ে দেখা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন তা নিয়েও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। নিয়ম অনুযায়ী, উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের রাজ্যপালের অনুমতিক্রমে বিধানসভার স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করান। অর্থাৎ, রাজ্যপাল অনুমতি দিলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন।
আরও পড়ুন-জোটে ইতি, চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা বামেদের
লোকসভার ক্ষেত্রে সাংসদদের শপথগ্রহণ করানোর দায়িত্ব দেশের রাষ্ট্রপ্রতির। বিধানসভায় সেই দায়িত্ব পালন করেন রাজ্যপাল। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাংসদ-বিধায়কদের শপথগ্রহণের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল তাঁর মনোনীত ব্যক্তির হাতে তুলে দেন। লোকসভা ও বিধানসভার স্পিকাররাই সেই দায়িত্ব পান।
বহু দিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালরা স্পিকারকে এই দায়িত্ব দিয়ে রেখেছিলেন। সম্প্রতি সম্প্রতি রাজভবন থেকে বিধানসভার সচিবালয়ে জানানো হয়েছে, এই অনুমতি প্রত্যাহার করতে পারেন রাজ্যপাল। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি ফোনে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও খবর।
রাজ্যের তরফে রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, যাতে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই মমতাকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ৫ তারিখ পর্যন্ত গেজেট নোটিফিকেশন কার্যকর আছে। এ বিষয়ে যা বলার তার পরেই বলবেন।