ওয়েব ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) কাজ করতে যাওয়া বীরভূমের ৬ শ্রমিককে (birbhum 6 Worker) বাংলাদেশি সন্দেহে বাংলাদেশ (Bangladesh) পাঠিয়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। দিল্লিতে তাঁরা বাংলায় কথা বলছেন বলেই তাঁদের বাংলাদেশী হিসেবে সন্দেহ করে পুলিশ! তাই সরাসরি সেখান থেকে মোট ৬ জনকে বাংলাদেশে (Bangladesh) পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বীরভূমের দুটি পরিবারকে এভাবে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগে পাড়া প্রতিবেশিরা হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন। এই মামলাটি দায়ের হয়েছে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে। শীঘ্রই শুনানির সম্ভাবনা মামলার। যদিও তাঁদের বাংলাদেশের কোথায় পাঠানো হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত জানেন না প্রতিবেশীরা।
মামলাকারী আমির খান ও সোয়েব আলির দাবি, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড (Voter Card and Aadhar Card) সকল নথি দেখানো সত্ত্বেও তাঁদের কেবল বাংলায় কথা বলার কারণে বাংলাদেশি সন্দেহে মোট ৬ জনকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে তাঁরা শ্রমিকের (Delhi Worker) কাজ করতে গিয়েছিলেন। তাঁরা বংশ পরম্পরায় বীরভূমের বাসিন্দা। পুলিশ তাঁদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হচ্ছেনা। ৬ শ্রমিক হলেন- সোনালী খাতুন, দানিশ শেখ, শাবির শেখ, সিউটি বিবি, কুরবান শেখ, ইমাম দেওয়ান।
আরও পড়ুন: ডিভিসি জল ছাড়তেই চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা, ভাসবে এই দুই জেলা
গত ২৫ জুন গ্রামবাসীরা জানতে পারেন যে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) সরাসরি তাঁদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁরা কেউ বাংলাদেশের নাগরিক নয়। অবিলম্বে তাঁদের বীরভূমের পাইকর গ্রামে ফেরত আনা হোক। ওই গ্রামে তাঁদের জমিজমা আছে। সেখানেই তাঁরা থাকতেন। সেখানেই অবিলম্বে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হোক চাইছেন গ্রামবাসীরা।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerejee) এদিন এক্স হ্যান্ডেলে টুইট করে (X Handle Twite) জানিয়েছেন, ‘কোচবিহারের উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে অসমের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল এক্টে এনয়ারসির চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত ৫০ বছর ধরে তিনি এই বাংলার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে বিদেশি সন্দেহে হয়রান করা হচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ এবং এটির বিরুদ্ধে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর একজোট হয়ে রুখে দাঁড়ানো দরকার।
দেখুন অন্য খবর