ওয়েবডেস্ক: আজ অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshay Tritiya) শুভ লগ্নে দ্বারোদ্ঘাটন হল দিঘার জগন্নাথ দেবের মন্দিরের (Jagannath Temple Digha) । পুরীর আদলেই তৈরি হয়েছে এই মন্দির। তবে পুরীর থেকেও দিঘার মন্দিরের চত্বর আরও বিশাল। ১০ একর জমির উপর পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির রয়েছে, সেখানে দিঘার (Digha) এই মন্দির ২০ একর জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছে। জগনাথ দেবের প্রতি মানুষের অমোঘ আকর্ষণের কথা মাথায় রেখে কলকাতা সহ তার আশেপাশের মানুষের সুবিধার্থে দিঘাতে এই মন্দিরের চিন্তা ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর।
পুরীর নিয়ম মেনেই জগন্নাথ দেবের উদ্দেশে নিবেদন করা হয়েছে ৫৬ ভোগ (56 Bhogs) । এই ভোগে বিভিন্ন প্রকারের খাবার থাকে, যেমন – ভাত, ডাল, তরকারি, মিষ্টি, ফল প্রভৃতি।
আরও পড়ুন: দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন, এই মুহূর্তের ছবি কীরকম? দেখুন
১) উকখুড়া অর্থাৎ মুড়ি, ২) নারকেল নাড়ু, ৩) খোয়া ক্ষীর, ৪) দই, ৫) টুকরো টুকরো কলা, ৬) সুগন্ধী ভাত, ৭) শুকনো খিঁচুড়ি, ৮) মেন্ধা মুন্ডিয়া অর্থাৎ বিশেষ ধরণের কেক, ৯) বড় কেক, ১০) পুলি পিঠে, ১১) মিষ্টি কেক, ১২) এক ধরণের প্যান কেক, ১৩) নারকেল দিয়ে তৈরি কেক, ১৪) আদা দিয়ে তৈরি চাটনি, ১৫) শাক ভাজা, ১৬) লঙ্কার লাড্ডু, ১৭) করলা ভাজা, ১৮) ছোট্ট পিঠে, ১৯) দুধ তৈরি মিষ্টি, ২০) আরিশা অর্থাৎ ভাত দিয়ে তৈরি মিষ্টি, ২১) বুন্দিয়া অর্থাৎ বোঁদে, ২২) পাখাল অর্থাৎ পান্তা ভাত, ২৩) দুধভাত, ২৪)কাদামবা অর্থাৎ বিশেষ মিষ্টি ২৫) পাত মনোহার মিষ্টি ২৬) তাকুয়া মিষ্টি, ২৭) ভাগ পিঠে, ২৮) গোটাই অর্থাৎ নিমকি, ২৯) দলমা অর্থাৎ ভাত ও সবজি, ৩০) কাকারা মিষ্টি ৷
৩১) লুনি খুরুমা অর্থাৎ নোনতা বিস্কুট, ৩২) মিষ্টি লুচি, ৩৩) বিড়ি পিঠে, ৩৪) চাড়াই নাডা মিষ্টি, ৩৫) খাস্তা পুরি, ৩৬) কাদালি বারা, ৩৭) মাধু রুচী অর্থাৎ মিষ্টি চাটনি, ৩৮) সানা আরিশা অর্থাৎ রাইস কেক, ৩৯) পদ্ম পিঠে, ৪০) পিঠে, ৪১) কানজি অর্থাৎ চাল দিয়ে বিশেষ মিষ্টি. ৪২) দাহি পাখাল অর্থাৎ দই ভাত, ৪৩) বড় আরিশা, ৪৪) ত্রিপুরি, ৪৫) সাকারা অর্থাৎ সুগার ক্যান্ডি, ৪৬) সুজি ক্ষীর, ৪৭) মুগা সিজা, ৪৮) মনোহরা মিষ্টি, ৪৯) মাগাজা লাড্ডু, ৫০) পানা, ৫১) অন্ন, ৫২) ঘি ভাত, ৫৩) ডাল, ৫৪) বিসার অর্থাৎ সবজি, ৫৫) মাহুর অর্থাৎ লাবরা, ৫৬) সাগা নাড়িয়া অর্থাৎ নারকেলের দুধ দিয়ে মাখা ভাত !
এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। আজ বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় যজ্ঞ। এর জন্য তৈরি করা হয়েছে যজ্ঞকুণ্ড ও কুম্ভকুণ্ড। সেখানে বন্ধ দরজার ভিতর বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন পুরীর মন্দিরের অন্যতম প্রধান সেবায়েত রাজেশ দ্বৈতাপতি। সঙ্গে ছিলেন ইসকনের কর্মকর্তা সহ জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য রাধারমণ দাস। এদিন দ্বারোদঘাটনের পরেই মন্দিরের দরজা সকলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, সকলের সহযোগিতা ছাড়া এই মন্দির করা সম্ভব হত না।
দেখুন ভিডিও-