ঝালদা: ঝালদা পুরসভার (Jhalda Municipality) চেয়ারপার্সন সহ পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর বুধবার তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন। এর ফলে ঝালজা পুরসভা তৃণমূলের দখলে চলে এল। রাজ্যের এই একটিমাত্র পুরসভাই বিরোধী কংগ্রেসের (Congress) হাতে ছিল। এই পুরসভা দখলে নেওয়ার জন্য তৃণমূল অতিতে বহু চেষ্টা করেছে। তা নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলেছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্য়ে। এদিন বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতর নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগ দিলেন ওই পাঁচ কাউন্সিলর। তাঁরা হলেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর তথা ঝালদা পুরসভার পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়,১ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর বিজয় কান্দু , ২ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস কাউন্সিলর মিঠুন কান্দু , ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস কাউন্সিলর পিন্টু চন্দ্র ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড কংগ্রেস কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকার।
পুরুলিয়া জেলার এই ঝালদা পুরসভা দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসের হাতে ছিল। তৃণমূল এটি দখল করার জন্য অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছিল। গত বছর পুরভোটের ফল প্রকাশের পরের দিনই খুন হন কংগ্রেসের জয়ী কাউন্সিলর তপন কান্দু। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। আদালতের নির্দেশে ঘটনার সিবিআই তদন্ত চলে। সেই মামলা এখনও চলছে। তপনের ওয়ার্ডে উপনির্বাচন ঘিরেও জলঘোলা হয়। মামলা হয়। তপনের স্ত্রী আগেই কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন। নিহতের শূন্য আসনে তপনের ভাইপো মিঠুন কান্দু প্রার্থী হন। তিনি জেতেন। এরপর পুর বোর্ড গঠন নিয়েও নানা জটিলতা হয়। কংগ্রেস নির্দলের সমর্থনে বোর্ড গঠন করে। চেয়ারপার্সন হন পূর্ণিমা। তাঁর চেয়ারপার্সন হওয়া নিয়ে মামলা করে পুর দফতর। শেষে আদালতের নির্দেশে তাঁকে সরে যেতে হয়। চেয়ারপার্সন হন নির্দল প্রার্থী শীলা চট্টোপাধ্যায়। কয়েক মাস কংগ্রেস এই পুরসভা চালানোর পর বুধবার সেটি তাদের হাতছাড়া হল শীলা সহ একাধিক কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার। এমনকি তপনের ভাইপো মিঠুনও এদিন তৃণমূলে যোগ দেন। আদালতে কংগ্রেসের হয়ে মামলা লড়ছিলেন দলের আইনজীবী নেতা কৌস্তভ বাগচী। তিনি এদিন এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।