ওয়েবডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chattisgarh) মাওবাদী অভিযানে বিরাট সাফল্য। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে শীর্ষ মাও নেতা নাম্বালা কেশব রাও (Nambala Keshab Rao) ওরফে বাসভরাজ সহ ৩০ জন নকশাল (Nakshal) নিহত হয়েছেন। ছত্তিশগড়ে (Chattisgarh) খতম ৩০ জন মাওবাদী (Maoist)। গত শনিবার থেকে ছত্তিশগড়ের (Chattisgarh) বস্তার অঞ্চলের নারায়ণপুর জেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই শুরু হয়। দুইপক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন নকশাল নিহত হয়েছেন। মৃত্যু হয় শীর্ষ নকশাল নেতা নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসভরাজের (Basovraj) । জানা গিয়েছে, বাসভরাজকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির (communist party) সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। সূত্র মারফত খবর, শীর্ষ নকশাল নেতা, যিনি ১৯৭০ সাল থেকে নকশাল আন্দোলনের অংশ।
নারায়ণপুরের পুলিশ সুপার প্রভাত কুমার জানিয়েছেন, মার ডিভিশনের নকশালদের একটি বড় ক্যাডারের জমায়েতের খবর পাওয়া গিয়েছিল। এই আবহে শনিবার সকাল থেকে নারায়ণপুর(Narayanpur) , দান্তেওয়াড়া(Dantewada) , বিজাপুর (Bijapur) ও কোন্ডাগাঁওয়ে (Kondagaon) ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (District reserve guard) অভিযান চলছে। বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয় অভিযান। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: লস্কর ই তইবার সহ প্রতিষ্ঠাতা আমির হামজা চিকিৎসাধীন লাহোরের হাসপাতালে
নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে প্রান হারান প্রায় ৩০ মাওবাদী। নকশালদের নিরাপদ শক্ত ঘাঁটি আবুজমাদের জঙ্গলে ২৬ জন নকশালকে এখনও পর্যন্ত হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের দেহ ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান ও তল্লাশি এখনও চলছে বলে জানা গিয়েছে। দান্তেওয়াড়া, নারায়ণপুর ও বিজাপুর জেলার সীমান্তে এখনও চলছে এনকাউন্টার।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নারায়ণপুর জেলার জঙ্গলঘেরা আবুঝামাদ অঞ্চলে এর আগে একটি বড় নকশাল-বিরোধী অভিযান চলছিল, যেখানে নকশাল এবং ডিআরজি জওয়ানদের মধ্যে একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, নকশালদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালাচ্ছে ডিআরজি জওয়ানরা। আবুজমাদে নকশালদের এক বড় মাপের নেতাকে ঘিরে রেখেছেন জওয়ানরা। নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর ও কোন্ডাগাঁও জেলার যৌথ দল এই অভিযানে অংশ নেয়। রায়পুর ও বস্তারের পুলিশ আধিকারিকরা গোটা বিষয়টির উপর নজর রেখেছেন। ছত্তিশগড় থেকে নকশালবাদ নির্মূল করার সময়সীমা ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই আবহে লাল সন্ত্রাস দমনে বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: