কলকাতা: দু’দিন টানা বর্ষণের জেরে রাজ্যের নানা প্রান্তে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কোথাও জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। আবার কোথাও মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে অতিবৃষ্টির জেরে এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: কাঁথি সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত শুভেন্দু
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে গত ২৮ ও ২৯ জুলাই রাজ্যের নানা প্রান্তে টানা বৃষ্টি চলেছিল। টানা দু’দিন দুর্যোগের ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান-সহ দক্ষিণবঙ্গের আরও কয়েকটি জেলায় ঘরের দেওয়াল ভেঙে এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে দুর্ঘটনায় মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। অন্যান্য কোনও ক্ষতি হলেও তা রাজ্য সরকারের তরফে বিবেচনা করে দেখা হবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্লাবিত জেলাগুলির থেকে নির্বাচিত মন্ত্রীদের সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন এলাকার কী পরিস্থিতি তা সরেজমিনে দেখে একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে মন্ত্রীদের। কোন এলাকায় কত জল জমছে তার ওপর নজর রাখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারই ঘাটালের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে করেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। মঙ্গলবার উদয়নারায়ণপুর ও বুধবার খানাকুল যাবেন সৌমেন।
আরও পড়ুন: ১২ জন মহিলাসহ ২২০ জন আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা পুলিশে চাকরি পেলেন
নবান্ন সূত্রে খবর, দু’দিনের দুর্যোগে বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে, দেওয়াল-বাড়ি ভেঙে বাঁকুড়ায় চারজন, কালিম্পংয়ে দুজন, হাওড়ায় একজন, মুর্শিদাবাদে একজন, পশ্চিম বর্ধমানে একজন, পূর্ব বর্ধমানে একজন, পশ্চিম মেদিনীপুরে দুজন, পুরুলিয়ায় তিনজন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে ৩০৫টি ত্রাণ শিবির চলছে। সেখানে রয়েছেন ১৮ হাজার ৮৩৩ জন মানুষ। ৩৯ হাজার ৩৮০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।