কলকাতা: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে বুধবারই তপ্ত হয়েছিল নন্দীগ্রামে (Nandigram ) ভেকুটিয়া অঞ্চল। সেই সংঘর্ষে জখম ১৪ জনকে বৃহস্পতিবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital Kolkata) চিকিৎসার জন্য নিয়ে এলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আগামিকাল শুক্রবার নন্দীগ্রামে হিংসা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নন্দীগ্রামে শান্তি মিছিল হবে শুক্রবার । পাশাপাশি নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের যে সকল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থক ঘরছাড়া তাদের বাড়ি ফেরানো হবে, জানালেন কুণাল ঘোষ।
পঞ্চায়েত ভোটের গণনা শেষ হলেও জেলায় হিংসা অব্যাহত। জেলায় জেসায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, এলাকায় বোমাবাজি,গুলি প্রার্থীদের মারধর কোনও কিছুই বাদ যাচ্ছে না। আতঙ্কে অনেকেই ঘর ছাড়া। গত ৩৬ দিনে রাজনৈতিক হিংসায় রাজ্যে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। বেশিরভাগ গ্রাম প়়ঞ্চায়েত, প়়ঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ বিজেপির দখলে। নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য়ে ৪টিতে জয়ী বিজেপি, বাকি ৩টিতে তৃণমূল। অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূলের দখলে রয়েছে। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা মোট ১০টি। এর মধ্যে ৫টি পঞ্চায়েতে জয়ী বিজেপি, বাকি ৫টিতে জয়ী তৃণমূল। এর মধ্যেই বুধবার তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায় নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসা হয় তৃণমূলের জখম ১৪ জন কর্মীকে। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা নন্দীগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কুণাল ঘোষ।
বিজেপি লোকজনের তাদের উপর হামলা চালিয়েছে, অভিযোগ শাসকদলের। শুভেন্দু অধিকারীর লোকজন এলাকায় হিংসা ছড়াচ্ছে। তৃণমূলের কর্মীদের মারধর করছে। তাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূল কর্মী শশী পাঁজার অভিযোগ, তাকে বাড়ি গিয়ে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে। জিতে যাওয়া সার্টিফিকেট কেড়ে নেয়ার জন্য পুলিশও পাঠানো হয়েছে। বিজেপি হামলা চালিয়েছে তাদের লোকজনের উপর। যদিও বিজেপি হামলার কথা অস্বীকার করেছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর লড়াইয়েই বুধবার ভেকুটিয়ায় ওই ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই।