ক্রমেই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে বঙ্গের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় যশ। যার মোকাবিলা করতে কি কি প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার, সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় যশের সঙ্গে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে রাজ্য। যেভাবেই দুর্যোগ আসুক না কেন, শীঘ্রই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। ঝড়ের ২৪ ঘন্টা আগে থাকতেই নবান্ন এবং নবনির্মিত উপান্ন থেকে নজরদারি চলবে বলেও জানালেন মমতা। এরই মধ্যে ৪ হাজার ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ তিনি রাজ্যের ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে আরও বলেন, ‘তবে ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে মানতে হবে করোনা বিধি। প্রতিটি ত্রাণ শিবিরে করোনা বিধি নিষেধ মানতে হবে।’ ঝড়ের সময় জ্বর ও ডায়রিয়ার মত রোগ হতে পারে যার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধের ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকার। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, ক্লাব এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে স্বেচ্ছায় সহযোগিতার অনুরোধ করেছেন। ৫১ টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন থাকবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে এদিন তিনি আরো যে বিষয়গুলির কথা জোর দিয়েছেন সেগুলি হল, রাজ্যের প্রায় ২০টি জেলার ওপর এই ঝড়ের প্রভাব পড়বে সবথেকে বেশি। মৎস্যজীবীদের শুক্রবার পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে লাগাতার নজরদারি। যার জন্য ৪ হাজার সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও ৪৮ ঘন্টা উপান্ন থেকে যশ মোকাবিলায় তদারকি করবেন বলে জানান এদিনের বৈঠকে।