বালুরঘাট : প্রায় কয়েক পুরুষ ধরে ওরা কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। একটা সময় এই শিল্পের মাধ্যমে ভাত জোগানো সহজ হলেও এখন রাস্তাটা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বালুরঘাট শহর অন্তর্গত বালুরঘাট ফরেস্ট এলাকায় মাহালি পাড়ার বাসিন্দাদের। যেখানে বেশিরভাগ লোকজনই তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তাঁদের রুটি রোজগার বলতে মূলত বাঁশের তৈরি ডালি, কুলো, পাখা তৈরি করা। নিজেদের তৈরি করা ডালি, কুলো, পাখা বিক্রি করেই চলে তাঁদের সংসার। প্রায় ৪০টির বেশি পরিবার এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু গত দু’বছর ধরে তাদের হাসি কেড়েছে করোনা। এই করোনা সংকটের জন্যই নেমে এসেছে লকডাউনের ছায়া। আর এই লকডাউনের প্রভাবে মন্দা সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বাঁশ শিল্পীদের। একটা সময় ভাল দাম পেলেও এখন আর দাম নেই। বেচাকেনা অনেক কমে গেছে। সাধারণত পুজো পার্বণ গুলোতে এই বাঁশের তৈরির ডালি কুলো ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু লকডাউনের কারণে পুজোর সংখ্যা অনেকটাই কমে যাওয়ার কারণে চাহিদা অনেক কমে গেছিল এইসব বাঁশের তৈরি জিনিসের। সামনেই আসছে বাঙালির তেরো পার্বণের এক পার্বণ জামাই ষষ্ঠী ডালি এবং কুলোর চাহিদা থাকলেও মূল্য নেই বাজারে। তাই বিক্রেতা থেকে শিল্পী সবার মাথায় হাত।