কেন্দ্রীয় সরকারের তত্বাবধানে মালদহের আম এখন অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি শুরু। তাও আবার ক্যাশ অন ডেলিভারি। জৈব সার ব্যবহার করে উৎপাদিত মালদহের বিখ্যাত লক্ষ্মণভোগ, ফজলি, হিমসাগর, ল্যাংড়া-সহ বিভিন্ন আম এ বার ঘরের দুয়ারে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোন বেসরকারি উদ্যোগে নয়। সরকারি উদ্যোগেই এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সুফল বাংলার মাধ্যমে আদিবাসী মহিলাদের স্বনির্ভর করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মালদহে এই অনলাইন ব্যবস্থা চালু হলেও আগামী দিনে রাজ্য-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চালু হবে এই পরিষেবা। এই পুরো প্রজেক্টে মাঠে নেমে কাজ করছেন মালদহের আদিবাসী মহিলারা। এরকই একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা এলিজা ফেতরা জানান, ‘আদিবাসী অধ্যুষিত হবিবপুর এলাকায় কাজের অভাব রয়েছে। সংসারে যথেষ্ট অভাব ছিল। এই সংস্থায় এখন কাজ শিখেছি। আম গাছ দিয়েছে। সেগুলি পরিচর্যা করছি। আম চাষ শিখেছি। গাছের আম উৎপাদন হচ্ছে। আর সেই আম বিক্রি হচ্ছে। হাতে টাকা আসছে। মিটছে সংসারের সমস্যা। আগামী দিনে আশা করছি এই আয় আরও বাড়বে।’
কেন্দ্রীয় গবেষণা কেন্দ্রের মালদহে কর্মরত বৈজ্ঞানিক অন্তরা দাস জানান, ‘এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি পরিচালনার জন্য আদিবাসী মহিলাদের নিয়ে গঠিত দু’টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী কাজ করেছে। স্থানীয় বাজারে আমের যে মূল্য থাকবে অনলাইন আমের মূল্যও তাই থাকছে। এক্ষেত্রে দামের কোন পরিবর্তন হবে না।’ মূলত মহিলাদের পারিশ্রমিকের মূল্য হিসাব করে আমের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ‘বাইরের আমে যে কার্বাইড বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় এক্ষেত্রে তা করা হবে না। তাই তাঁদের উদ্যোগে তৈরি আম অনেক বেশি তাজা ও সুস্বাদু হবে। অনলাইনে এর জন্য যে অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সেই অ্যাপে কোন প্রজাতির আম কত পরিমাণে নেবেন তা আপলোড করলেই আপনার বুকিং হয়ে যাবে। তারপর সেই আম ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।’
প্রতীকী ছবি