জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে দু’বছরও অতিবাহিত হয়নি জেনারেল বিপিন রাওয়াতের, তার আগেই এক নিমেষে সব শেষ করে দিল কুনুর ট্র্যাজেডি। ৮ই ডিসেম্বর সকালে নীলগিরির কুনুরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের Mi-17V5 হেলিকপ্টার। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, স্ত্রী মধুলিকা-সহ ১১জন। আগুন লেগে কুনুরের ঘন জঙ্গলে ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টার।
সাধারণত এই এই Mi-17VF চপার চেপেই দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঘুরে বেড়া্ন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্তারা। স্বাভাবিক ভাবেই সেনা সর্বাধিনায়কের বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। প্রশ্ন ওঠে রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে। টেনে আনা হয় সেনা সর্বাধিনায়কের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে পাঁচ বছরে ৪টি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ৩১ জনের মৃত্যুর প্রসঙ্গ।
কী ভাবে ঘটল এই মর্মান্তিক চপার দুর্ঘটনা, এই নিয়ে তদন্তের দায়িত্বভার দেওয়া হয় ভারতীয় সেনার তিন শাখাকেই। ঘটনাস্থল পরিদর্শন থেকে ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার এই সব কিছু নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে ট্রাই সার্ভিস ইনকোয়ারি টিম।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান থেকে কোনও এসওএস মেসেজ পাঠানো হয়নি। ৮ই ডিসেম্বর সকাল ১১: ৪৮ নাগাদ সুলুর এয়ার বেস থেকে টেক অফ করে বেলা সওয়া বারোটা নাগাদ তামিল নাডুর ওয়েলিং এয়ার বেসে যাওয়ার কথা ছিল সেনা সর্বাধিনায়কের এই হেলিকপ্টারের।
একদিকে চীনের আগ্রাসী মনোভাব অন্যদিকে পাকিস্তানের অনুপ্রবেশ, দুক্ষেত্রেই বিপিন রাওয়াতের নেতৃত্বে কঠোর অবস্থান নেয় ভারত। সম্প্রতি সেনার সর্বাধিনায়ক হিসেবে ভারতীয় সেনার তিনটি শাখা পরিচালনা নিয়েও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত। বাস্তবায়িত হওয়ার পথেই ধাক্কা খেল সেই সব পরিকল্পনা।
দেশ হারাল তার এক বীর সন্তানকে।