হাওড়া: ফুসলিয়ে বিয়ে। তারপর সেই তরুণীদের হাওড়ার বিভিন্ন পানশালা (Bar Dancer) ও স্পাতে যৌনকর্মে (Sex trafficking) বাধ্য করা। অবশেষে দাঁও বুঝে মালদার খদ্দেরের হাতে তাদের বেচে দেওয়া (Women trafficking in India)। একাধিক যুবতীর সঙ্গে এভাবে সম্পর্ক পাতিয়ে ভিনরাজ্যে বিক্রির অভিযোগে হাওড়া থেকে গ্রেফতার যুবক।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ভিনরাজ্যের তরুণীদের ফেসবুকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠাত সুনীল চাণ্ডিল। মেয়েরা তার ফাঁদে ধরা দিলে, ধীরে ধীরে গভীর সম্পর্কের পথে পা বাড়াত। এভাবেই একে একে বেশ কয়েকজনকে জালে জড়িয়েছে সে। কিন্তু, শেষবার কানপুরের এক যুবতী পালিয়ে গিয়ে থানায় অভিযোগ জানালে হাওড়ার বেলিলিয়াস রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করে কানপুর পুলিস। সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীল চাণ্ডিল নিজের জেলা বা এরাজ্যে জাল বিছাতো না। ভিনরাজ্যেই প্রেমের ফাঁদ পাততো। ফেসবুকে বন্ধুত্ব পাতিয়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করত। প্রেম গভীর হলে বিয়ের প্রস্তাব এবং বিয়ে করে হাওড়ায় নিয়ে আসত সে। এরপরই তার স্বরূপ প্রকাশ পেতে শুরু করত। কাজের অছিলায় হাওড়ার বিভিন্ন পানশালা ও স্পাতে তাদের নিয়োগ করা হতো। কিছুদিন এভাবে কাটার পর ফের ভিনরাজ্যে ভালো কাজের টোপ দেখিয়ে তাদের সেখানে নিয়ে গিয়ে বেচে দিত সুনীল।
এভাবে কানপুরের একটি মেয়েকে সেখানেই বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছিল সে। কিন্তু, মেয়েটি তার মতলব টের পেয়ে যায়। ট্রেনে সুযোগ বুঝে মেয়েটি ধানবাদ থেকে পালায়। সেখান থেকে হাওড়া হয়ে নিজের শহরে বাড়িতে ফিরে যায়। পরিবারের সদস্যরা তখন স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান।
আরও পড়ুন খোঁজ মিলল অরুণাচলের নিখোঁজ কিশোরের, হদিশ দিল চীনা সেনাই
তদন্তে নেমে পুলিস সুনীল চাণ্ডিলের হদিশ পায়। রবিবার কানপুর থেকে পুলিস এসে গ্রেফতার করে তাকে। আজ হাওড়া আদালতে তাকে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কানপুরে|