কলকাতা: ভারতীয় রেলকে ( Indian Railways) দেশবাসীর ‘লাইফ লাইন’ (Life Line) বলা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ কম সময়ে এবং কম খরচে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন। তবে, ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করলেও রেল সম্পর্কিত অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলি অনেকের কাছেই অজানা থাকে। ট্রেনে যাতায়াতের সময় অনেকেই হয়তো দেখেছেন দূরপাল্লার প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিতে এসি, জেনারেল এবং স্লিপার ক্লাস সহ বিভিন্ন ধরণের কোচ থাকে। কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে কখন যাত্রীবাহী ট্রেনের ‘কর্মজীবন’ শেষ হয়? অর্থাৎ ওই সমস্ত ট্রেনের মেয়াদ কতদিন থাকে? পাশাপাশি, সেগুলির মেয়াদ শেষে কিই বা করা হয়? চলুন জেনে নিন এইসব প্রশ্নের উত্তর
ভারতীয় রেলে যাত্রীদের পরিষেবা প্রদানকারী ICF কোচগুলির কর্মজীবনের মেয়াদ ২৫ থেকে ৩০ বছর হয়। এর অর্থ হল একটি যাত্রীবাহী কোচ সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৩০ বছরের জন্য পরিষেবা দিতে পারে। তবে, এইক্ষেত্রে প্রতি ৫ বা ১০ বছরে একবার যাত্রীবাহী কোচ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এদিকে, কোচগুলির কর্মজীবনের মেয়াদ পূর্ণ হলে সেগুলিকে অটো ক্যারিয়ারে রূপান্তরিত করা হয়।
মূলত,অটো ক্যারিয়ারে রূপান্তরিত হওয়ার পরে, এই ট্রেনগুলিকে NMG কোচে রূপান্তরিত করা হয়। একটি যাত্রীবাহী কোচকে NMG কোচে রূপান্তর করার পরে, এটি আরও ৫ থেকে ১০ বছর ব্যবহার করা হয়। এই ট্রেনগুলির মাধ্যমে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পণ্য পরিবহণ করা হয়। যাত্রীবাহী কোচকে NMG কোচে রূপান্তর করার জন্যে, কোচটি সম্পূর্ণ সিল করা হয়। পাশাপাশি, ভেতরের সব সিট খুলে ফেলা হয়। এমনকি, ফ্যান এবং আলোগুলিকেও খুলে ফেলা হয়। এছাড়াও, কোচগুলিকে শক্তিশালী করতে লোহার স্ট্রিপ লাগানো থাকে।
NMG কোচগুলিকে এমনভাবে প্রস্তুত করা হয় যাতে সেগুলিতে গাড়ি, মিনি ট্রাক এবং ট্রাক্টর সহজেই লোড এবং আনলোড করা যায়। এমতাবস্থায়, প্রশ্ন উঠতে পারে যে, কোচগুলিকে সম্পূর্ণ সিল করে দিলে কিভাবে জিনিসপত্র রাখা হয়? আসলে সম্পূর্ণরূপে সিল করা মানে জানালা এবং দরজা লক করে দেওয়া। অর্থাৎ, লাগেজ রাখার জন্য কোচের পেছনে একটি দরজা তৈরি করা হয়।