কলকাতা: বিপ্লব দেবের ইস্তফা আসলে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের ফল, মন্তব্য তৃণমূলের৷ শনিবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দিলেন বিপ্লব দেব৷ তারপরই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল৷ এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় শক্তি বাড়াচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল৷ গত পুরভোটেও আগরতলায় নিজেদের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিয়েছে৷ বিজেপির বেশ কিছু নেতা কর্মী ইতিমধ্যে তৃণমূলমুখী হয়ে উঠেছে৷ পরিস্থিতি যখন বিপ্লব-বিজেপি বিরোধী হয়ে উঠছে, তখনই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে এই ইস্তফা৷ এরপরই তৃণমূলের কটাক্ষ, বিপ্লবের নেতৃত্বে ত্রিপুরা বিজেপিতে গোষ্ঠীকোন্দল চরমে উঠেছে৷ নিজেদের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই ভাবছেন না তাঁরা৷ বিপ্লব দেবের মতো মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলের এক বৃহৎ অংশ বিক্ষুব্ধ৷ তাই তাঁকে সরিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা হল৷
ত্রিপুরা তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিপ্লবের আমলে ত্রিপুরায় কী অবস্থা তা মানুষ বুঝতে পেরেছেন৷ উনার জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে৷ রাজ্যে শিক্ষা নেই৷ আইনের শাসন নেই৷ দলেও জনপ্রিয়তা হারিয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে বিপ্লবকে সরিয়ে বিজেপি নিজেদের মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করছে৷’ বঙ্গ তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ত্রিপুরা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে৷ মানুষ বিজেপিকে চাইছে না৷ ত্রিপরায় তৃণমূল কংগ্রেস ঝড়ের গতিতে এগিয়ে চলেছে৷ বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কন্যাশ্রী, যুবশ্রীর মতো একাধিক প্রকল্প চালু হল কেন ত্রিপুরায় চালু হল না তা সেখানকার মানুষ প্রশ্ন করা শুরু করেছে৷ তাই চাপে পড়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বিপ্লব৷’
মেয়াদ শেষের মাত্র ১০ মাস আগে শনিবার রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ত্রিপুরায় প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী৷ ২০১৮তে বিপ্লবের হাত ধরেই ত্রিপুরায় বিজেপির পথ চলা শুরু হয়৷ মানিক সরকারের নেতৃত্বাধীন বাম সরকারকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি৷ কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পরই তাদের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে ওঠে৷ একাধিক শীর্ষ বিজেপি নেতা বিপ্লবের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন৷ এদিন বিপ্লবের পদত্যাগের পর স্বাভাবিকভাবেই অন্যতম প্রধান বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেস কটাক্ষ করতে পিছপা হয়নি৷ মেয়াদ শেষের মাত্র ১০ মাস আগে এভাবে পদত্যাগ বিজেপির ক্ষেত্রেও বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে৷