কলকাতা: এই বিশ্বে (World) এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা সকলকে অবাক করে। তারমধ্যে অন্যতম হল মধ্য প্রাচ্যে অবস্থিত এই মৃত সাগর (Dead Sea)। সাগর বলা হলেও এটি মূলত একটি হ্রদ। যার সর্বোচ্চ গভীরতা ৩০৪ মিটার। মৃত সাগরের পূর্ব সীমান্তে রয়েছে জর্ডান এবং পশ্চিম সীমান্তে যথাক্রমে ইসরাইল ও প্যালেস্টাইন। সাধারণত সমুদ্রের জলের থেকে মৃত সাগরের লবণাক্ততা ৮.৬ গুণ বেশি।
মৃত সাগরের জলে লবনে আছে ৪% পটাশিয়াম ক্লোরাইড, ১৪% ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড। সেই সাগরের জলের লবনে আছে ৩০% সোডিয়াম ক্লোরাইড ও ৫০% ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড। এই হ্রদটিতে লবণাক্ততার পরিমাণ ৩০%। উচ্চ প্লবতার কারণে যেকোনও ব্যক্তি এই সাগরের জলে ভাসতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বন দফতর চত্বরে কাটা হল শতাধিক গাছ, শুরু তদন্ত
মৃত সাগরের উৎপত্তি হয় প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে। প্রায় তিরিশ লক্ষ বছর আগে বর্তমান জর্দান নদী, মৃত সাগর এবং ওয়াদি আরাবাহ অঞ্চল লোহিত সাগরের জলে বারবার প্লাবিত হত। এর দরুন একটি সংকীর্ণ উপসাগরের সৃষ্টি হয়। উপসাগরটি জেজরিল উপত্যকায় একটি সংকীর্ণ সংযোগের মাধ্যমে লোহিত সাগরের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
প্রাকৃতিক তত্ত্ব অনুযায়ী, কালক্রমে পূর্ব উপত্যকা এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী স্থলভাগ যথেষ্ট উচ্চতা লাভ করে। ফলে মহাসাগরের প্লাবনে এই অঞ্চলে সৃষ্ট উপসাগরটি পরিবেষ্টিত হয়ে হ্রদে পরিণত হয়। এই হ্রদের জলে আছে অনেক খনিজ দ্রব্য। শ্বাসকষ্টে যাঁরা ভোগেন,তাঁরা এখানে এলে উপকার পাবেন। কারণ এখানে আছে উচ্চ বায়ুমণ্ডলীয় চাপ।
অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে এই হ্রদে কোন উদ্ভিদ বা প্রাণী বাঁচে না বলেই একে মৃত সাগর বলা হয়ে থাকে। সামান্য কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক অণুজীবের সন্ধান পাওয়া যায় এখানে। যদিও সংলগ্ন এলাকায় বন্যপ্রাণী বা উদ্ভিদ দেখা যথারীতি মেলে।