বসিরহাট: রেল স্টেশন চত্বরে শোনা গেল গুলির শব্দ৷ লাঠির আঘাতে মাথা ফাটল ওসি ও কনস্টেবলের৷ আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন রেল পুলিস কর্মী৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোলের বিকালে চাঞ্চল্য ছড়াল বসিরহাট রেল স্টেশন (Basirhat Rail Station) চত্বরে৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর দুই কনস্টেবলকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ কিন্তু মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি কনস্টেবল রাম প্রতাপ পটেল (৩০) এবং আরপিএফের অফিসার ইন-চার্জ বিনয় রায় (৫২)৷
এদিন সন্ধ্যায় বসিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে ডিউটি করছিলেন আরপিএফের দুই কনস্টেবল সেই সময় তাঁদের উপর চড়াও হয় রঙ মাথা একদল যুবক৷ উন্মত্ত যুবকরা দুই কর্মরত কনস্টেবলকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে৷ বাইরে হই-চই এর আওয়াজ পেয়ে কোয়ার্টার থেকে বেরিয়ে আসেন বিনয় রায়৷ তিনি দুই কনস্টেবলকে বাঁচাতে গেলে তাঁকে মারধর করতে থাকে যুবকরা৷
মারধরের জেরে তাঁর মাথা যায় ফেটে৷ মাথা ফাটে আরও এক কনস্টেবলের৷ ঘটনার পর আরপিএফ ও বসিরহাট জিআরপি-র একাধিক পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ তবে তার আগেই ওই যুবকরা শূন্যে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়৷ পুলিস গিয়ে ওই চার পুলিশ কর্মীকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর দুই কনস্টেবলকে ছেড়ে দেওয়া হলেও গুরুতরভাবে মাথায় চোট পাওয়ায় বাকি দু’জনকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়৷
আক্রান্ত ওসি বিনয় রায় বলেন, ‘‘অতর্কিতে এই আক্রমণে আমরা হকচকিয়ে যাই৷ ঠিক কী কারণে ঘটনাটি ঘটল তা বলতে পারব না। সেটা তদন্ত করলে জানা যাবে৷’’ তবে রেলের পুলিশ কর্মীদের আক্রান্তের খবরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়৷ প্রশ্ন উঠছে, রেল পুলিসই যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে যাত্রীদের নিজেদের কতটা সুরক্ষিত বোধ করবে? বারাসত ও শিয়ালদহ ডিভিশনের আরপিএফের কর্তারা ইতিমধ্যে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷