কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (calcutta high court notification) বিচারপতি (Justice) পদ থেকে অবসর নিলেন বিচারপতি (Justice of the Calcutta High Court) শিবকান্ত প্রসাদ (Shivkanta Prasdad retires)।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির (Chief Justice of the Calcutta High Court) এজলাসে সমস্ত বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন তাঁর বিদায়বেলার (farewell ceremony of Justice ) অনুষ্ঠানে।
এ দিনের অনুষ্ঠানে বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ বলেন ‘বিচার ব্যবস্থায় জুনিয়র আইনজীবীদের বেশি করে সুযোগ দেওয়া উচিত। প্রবীণ আইনজীবীদের সঙ্গে থেকে যদি জুনিয়র আইনজীবীরা (Lawyers of calcutta high court) বিচার ব্যবস্থায় অংশ নেন, তা হলে আগামী দিনে নিজের পেশায় তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ স্থান নেবেন। আমার পেশা-জীবনে সব সময় জুনিয়র আইনজীবীদের প্রাধান্য দিয়েছি। আজ অবসরের সময়ে এসে নতুন ভাবে আবার জীবন শুরু করতে চলেছি। আমি বিশ্বাস করি আমার দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা নতুনভাবে যে কাজ শুরু করতে চলেছি তাকে প্রেরণা যোগাবে।’
আরও পড়ুন Jawad in West Bengal: জাওয়াদ বাংলায় অনেকটাই দুর্বল হবে, শনি-রবি দক্ষিণবঙ্গে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি
১৯৮৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি পাশ করে আইনজীবী( lawyer) পেশার সঙ্গে যুক্ত হন শিবকান্ত প্রসাদ। পেশা-জীবনের প্রথম দিকে সালিশি পদ থেকে শুরু করলেও ১৯৮৭ সালে বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস বিচারক পদে নিযুক্ত হন। এবং মুন্সিফ, বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পদে দায়িত্বভার নেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে হুগলি জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্ব নেন। ২০১৩ সালের ২৬ জুন তিনি প্রথমবার কলকাতা হাই কোর্টের মেম্বার সেক্রেটারি ও মধ্যস্থতা কমিটির পদ গ্রহণ করেন। তারপর অতিরিক্ত বিচারপতি (Additional judge) এবং শেষে ২০১৬ সালে স্থায়ী বিচারপতি (permanent judge in 2016) হিসেবে নিযুক্ত হন।
বিদায়বেলার অনুষ্ঠানে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘বিচারপতি প্রসাদ ছিলেন মৃদুভাষী, অল্প কথার মানুষ। সব সময়ে বিচারালয়ে বার ও বেঞ্চের মধ্যে যে সম্পর্ক তা তিনি রক্ষা করে গিয়েছেন। তাই তাঁর অবসর গ্রহণের পর সেই অভাব তৈরি হবে।’
আরও পড়ুন Pre-Primary Admission: প্রাক-প্রাথমিক ভর্তির আবেদনপত্র বিতরণের সময়সীমা জানাল শিক্ষা দফতর
ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠান চলাকালীন ফের ভার্চুয়াল বিভ্রাট হয়। কিছুক্ষণের জন্য অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। বার লাইব্রেরি ক্লাবের প্রতিনিধি প্রমিত রায় ভার্চুয়ালে তাঁর বক্তব্য রাখার সময় গোলমাল হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখতে পারেননি।
