কলকাতা টিভি ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন নিয়ে কোয়াডে ফাটল৷ একদিকে আমেরিকার নেতৃত্বে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার বিরোধিতায় রাষ্ট্রপুঞ্জে ভোট দিয়েছে৷ এর উল্টোদিকে, কোয়াডের চতুর্থ সদস্য ভারত মস্কোর সেনা অভিযান নিয়ে একটি শব্দ খরচ করেনি৷ রাষ্ট্রপুঞ্জেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দান থেকে বিরত থেকেছে৷ নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক পথে ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজে বার করতে হবে দুই যুযুধান দেশকে৷ তিনদিন আগে কোয়াডের বৈঠকেও রাশিয়ার বিরুদ্ধাচারণ করেনি ভারত৷ আমেরিকার প্রচেষ্টাকে দূরে ঠেলে নয়াদিল্লি সকলকে মনে করিয়ে দেয়, কোয়াড গঠনের উদ্দেশ্য হল ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় স্থিতাবস্থা যাতে বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা৷
সেদিনের কোয়াডের ভার্চুয়াল বৈঠক শেষ হওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আলাদাভাবে কোনও বিবৃতি দেননি৷ কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানিয়ে দেন, তিনি ইউক্রেনের পাশে আছেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে যাতে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় সেটাই তিনি চান৷ রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করেছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও৷ বলেছিলেন, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের মতো কেউ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় একতরফা ভাবে স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা করলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না৷ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা নিয়ে কোয়াড বৈঠকে আলোচনা হয়েছে৷ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার মতো টেরিটোরিয়াল ইন্টিগ্রিটি বা আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি বদ্ধপরিকর৷
সেখানে ভারতের তরফে প্রতিক্রিয়ায় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘ইউক্রেনের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক৷ কিন্তু তাই বলে অন্য প্রান্তের সমস্যা যে রাতারাতি উবে গিয়েছে তাও নয়৷ আমার মনে হয়, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় এখনও সেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷’ অর্থাৎ বাকি তিন দেশের মতো ভারত কারও দিকে আঙুল না তুলে একটি নির্দিষ্ট এলাকার সমস্যার উপর ফোকাস বজায় রাখার কথাই বলেছে৷