চণ্ডীগড়: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে কেন্দ্রের কাছে শুক্রবার রিপোর্ট জমা দিল পঞ্জাব সরকার (PM Modi security breach)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশমতো এই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে (Modi security threat)। কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে পঞ্জাব সরকার জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা লঙ্ঘন সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি এফআইআর রুজু হয়েছে (Punjab government)। রাজ্য সরকারের তরফে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো রিপোর্টে চান্নি সরকার আরও দাবি করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পঞ্জাবের হুসেইনওয়ালা যাওয়ার রুট যে বদল হয়েছে, সে সংক্রান্ত আগাম কোনও খবর তাদের কাছে ছিল না। বুধবার ফিরোজপুরের ঘটনার পরেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত্ সিং চান্নির সরকারকে কাঠগড়ায় তোলে ভারতীয় জনতা পার্টি। তার পরেই কেন্দ্রের কাছে এদিন রিপোর্ট পাঠাল চান্নি সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতি থাকার অভিযোগ আগেই খারিজ করে দিয়েছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে পালটা বিঁধে চান্নি বলেছিলেন, হুসেইনওয়ালার দানা মান্ডিতে মোদির সভায় ৭০ হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মেরেকেটে ৭০০ লোকও হয়নি। এই অবস্থায় সভাস্থলে না গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিল্লি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে, নিরাপত্তায় গাফিলতি থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : PM Modi Security Breach: মোদির নিরাপত্তায় গাফিলতি তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
চান্নির দাবি, প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত সভার পাঁচ দিন আগেই স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেয়। ল্যান্ডিং স্পট, প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল থেকে শুরু করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় দেখার দায়িত্ব নেয় এসপিজি। কিন্তু ঘটনার দিন প্রধানমন্ত্রীর রুট হঠাত্ করেই বদল করা হয়েছিল। এসপিজি-ই ওই রুটে ছাড়পত্র দিয়েছিল। এখন পঞ্জাব সরকারকে দোষারোপ করা হচ্ছে।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কোনও ঝুঁকি থাকলে, পঞ্জাবিরা নিশ্চিত ভাবেই রুখে দাঁড়াতেন। নিজেরা গুলির সামনে বুকে পেতে দাঁড়াতেন। দেশ ও জাতির সেবায় পঞ্জাবিরা আগেও আত্মত্যাগ করেছেন। এ বারও তার ব্যতয় হত না।
আরও পড়ুন : PM Modi: ভেবেছিলাম পুলিস মিথ্যা বলছে, মোদির কনভয় আটকে পড়া নিয়ে সাফাই কৃষকদের
বুধবার হুসেইনওয়ালায় যাওয়ার পথে ফিরোজপুর ফ্লাইওভারে নরেন্দ্র মোদির কনভয় আটকে যায়। কৃষকদের বিক্ষোভের কারণে ১৫-২০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করে, শেষপর্যন্ত সভাস্থলে না গিয়ে, ভাতিন্দা বিমানবন্দরে ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা পঞ্জাব সরকারকে আক্রমণ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও ঘটনার বিশদ জানতে চেয়ে চান্নি সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও মনে করে, রাজ্য সরকারের তরফে নিরাপত্তায় গাফিলতি ছিল।
এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি দল শুক্রবারই ফিরোজপুরে পৌঁছয়। প্রধানমন্ত্রীর নিরপত্তা গাফিলতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল পঞ্জাব গিয়েছে। পঞ্জাব সরকারকে দুষে সুপ্রিম কোর্টেও এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। শীর্ষ আদালতে খুব শিগগিরই তার শুনানি রয়েছে।