নয়াদিল্লি: পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত ওডিশার অশীতিপর সমাজকর্মী শান্তিদেবী রবিবার গভীর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর৷ গত বছর ২১ নভেম্বর হুইলচেয়ারে বসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার নিয়েছিলেন তিনি৷ নিজের গোটা জীবন তিনি উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন নারী শিক্ষার প্রসারে এবং সমাজের পিছিয়ে পড়াদের উন্নয়নে৷ গান্ধী আদর্শে উদ্বুদ্ধ এমন এক সমাজকর্মীর প্রয়াণে সোমবার সকালে টুইটে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
প্রধানমন্ত্রী এদিন টুইটে লেখেন, ‘গরিব এবং বঞ্চিতের আওয়াজ হিসেবে সু্স্থ সমাজ গঠনে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন শান্তিদেবী জি৷ তাঁর প্রয়াণে মর্মাহত৷ উনার পরিবারকে সমবেদনা জানালাম৷’ টুইটের সঙ্গে একটি ছবিও দেন মোদি৷ হুইলচেয়ারে বসা পদ্মশ্রী জয়ীর সামনে হাত জোড় করে নমস্কার করছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এদিন টুইটে শোকপ্রকাশ করেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান৷
Shanti Devi Ji will be remembered as a voice of the poor and underprivileged. She worked selflessly to remove suffering and create a healthier as well as just society. Pained by her demise. My thoughts are with her family and countless admirers. Om Shanti. pic.twitter.com/66MLo73LUK
— Narendra Modi (@narendramodi) January 17, 2022
आदिवासी बच्चियों के लिए शांति देवी जी ने उम्र भर जो काम किया उसे देश कभी नहीं भुलाएगा।
वे सही मायने में एक गांधीवादी समाज सेविका थीं जो सत्य व न्याय के पथ पर चलती रहीं। उनके परिवार व प्रियजनों को मेरी शोक संवेदनाएँ। pic.twitter.com/xxdDF2KWIp
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) January 17, 2022
১৯৩৪ সালের ১৮ এপ্রিল ওডিশার বালাসোর জেলায় জন্ম শান্তিদেবীর৷ ১৭ বছর বয়সে গান্ধী অনুগামী রতন দাসকে বিয়ে করে কোরাপুত জেলায় চলে আসেন৷ অল্প বয়সেই তিনি সমাজকর্মে জড়িয়ে পড়েন৷ কুষ্ঠ রোগীদের জন্য তৈরি করেন আশ্রম৷ পরবর্তীকালে জোর দেন নারী শিক্ষা প্রসারে৷ সেই লক্ষ্যে ১৯৬৪ সালে গুনুপুরে তৈরি করেন সেবা সমাজ আশ্রম৷ আদিবাসী সমাজে নারী শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে মেয়েদের স্বাবলম্বী করে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা নেন তিনি৷ এমনকী মাও-অধ্যুষিত এলাকাগুলি শান্তি স্থাপনেও চেষ্টা চালিয়ে যান৷