পুরী : এ বছরও ভক্তশূন্য পুরীর রথযাত্রা উৎসব। গতবছর যেভাবে রথযাত্রা পালন করা হয়েছিল, ঠিক একই ভাবে রথযাত্রা পালন করা হচ্ছে পুরীতে। তবে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই হচ্ছে এই রথযাত্রা। কোভিড মোকাবিলার জন্য মন্দির চত্বরে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
সোমবার ভোর সাড়ে ৪টের সময় মন্দিরের মূল দরজা খুলে সেবায়েতরা মন্দিরে প্রবেশ করেন। মঙ্গল আরতির মাধ্যমে পুজোর সূচনা হয়। নিত্য কিছু পুজোর পর পুষ্প মাল্য এবং শোলার মুকুট দিয়ে সাজানো হয় বলরাম সুভদ্রা এবং জগন্নাথ দেবকে। এরপর নিয়ম মেনে পুরীর শঙ্করাচার্য আসেন। তিনি প্রথমে বলরাম, তারপর সুভদ্রা এবং সর্বশেষে জগন্নাথ দেবের পুজো করেন। পুজো দেওয়ার পর তিনি চলে যান। মন্দিরের তরফে প্রতিনিধিরা রাজার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে আমন্ত্রণ জানান। পুরীর রাজা ৩টি পৃথক রথে উঠে প্রথমে ফুলের পাপড়ি চারিদিকে ছড়িয়ে প্রদক্ষিণ করেন, তারপর সোনার ঝাঁটা দিয়ে ঝাট দেন। তারপর চন্দন জল ছড়িয়ে প্রদক্ষিণ করে বলরাম সুভদ্রা এবং জগন্নাথদেবের সামনে কর্পূর আরতি করে ফিরে যান। পুলিশ প্রশাসন যৌথভাবে খুব সুশৃংখল ভাবে এই রথযাত্রা পরিচালনা করছেন। এই রথযাত্রার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৪ হাজার সেবায়েতদের কোভিড পরীক্ষা করানো হয়েছে। যাঁরা এই রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করছেন, তাঁদের করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখতে হয়েছে। মুখে মাক্স পরা বাধ্যতামূলক। এই পুরো বিষয়টির দিকে মন্দির কর্তৃপক্ষ নজর রেখেছে। রবিবার রাত থেকেই পুরীর মন্দিরের সামনে থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিশাল পুলিশবাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের দল মোতায়েন করা হয়েছে।