গোসাবা: উপনির্বাচনে জিতে এখন তিনি গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক৷ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে মানুষের উন্নয়নে কাজ করবেন৷ মঙ্গলবারের ফল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কথা মত কাজে নেমে পড়লেন সুব্রত মণ্ডল৷ বুধবার সকালে নদী বাঁধ মেরামতির কাজ খতিয়ে দেখতে সটান হাজির হন গোসাবা ব্লকের বালি ১ ও বালি ২ এলাকায়৷ সেখানে গিয়ে কাজের তদারকি করেন৷ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন৷ এদিকে সাত সকালে বিধায়ককে সেখানে দেখে চমকে যান এলাকার মানুষ৷ তবে নদী বাঁধ সমস্যা সমাধানে বিধায়কের আন্তরিকতা দেখে তাঁরা খুশি৷
গোসাবায় নদী বাঁধ ভাঙনের সমস্যা নতুন নয়৷ কখনও ভরা কটালের জলে বাঁধ ভেঙে গ্রামে হু হু করে জল ঢুকে পড়ে৷ তো কখনও প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙে যায় বাঁধ৷ নদী বাঁধে ধসের আশঙ্কায় সবসময় আতঙ্কে থাকেন গোসাবার মানুষ৷ সেই বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে অনেক জায়গায়৷ আজ সকালে বাঁধ মেরামতির কাজ খতিয়ে দেখতে যান সুব্রত মণ্ডল৷ যিনি সদ্য শেষ হওয়া উপনির্বাচনে রেকর্ড মার্জিনে জেতা তৃণমূলের অন্যতম জয়ী প্রার্থী৷
নদী বাঁধ মেরামতির কাজ খতিয়ে দেখতে হাজির গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক ছবি-নিজস্ব৷
তৃণমূল বিধায়ক সুব্রতবাবু এদিন বলেন, ‘মানুষকে সুরক্ষা দিতে আমরা দায়বদ্ধ৷ তাই নদী বাঁধগুলি শক্তপোক্ত বা কংক্রিটের করা প্রয়োজন৷ অনেক জায়গায় বাঁধগুলির অবস্থা খুব খারাপ৷ বড় বাঁধগুলি সেচ দফতরকে দিয়ে সংস্কার এবং ফাঁড়ির ভেতরে থাকা ছোট বাঁধগুলির ক্ষেত্রে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের ভেতর কংক্রিটের ব্লক তৈরি করা যায় কিনা সেটা ঠিক করা দরকার৷’ সেটা দেখতে বিধায়ক যান বাঁধ মেরামতির কাজ দেখতে৷
এদিকে সদ্য উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়ককে সাত সকালে দেখে চমকে গিয়েছেন স্থানীয়রা৷ একই সঙ্গে তাঁরা খুশি৷ বিষ্ণুপদ হালদার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘নদী বাঁধের কাজ নিয়ে আলোচনা করতে উনি এখানে এসেছেন এটা দেখে ভালো লাগল৷ আশা করছি উনি এলাকারা উন্নয়ন করবেন৷’ গোসাবার আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘বিধায়ক হয়েই যেভাবে তিনি ছুটে এসেছেন সেটা দেখেই ভালো লেগেছে৷ আমরা এতে খুশি৷’