নয়াদিল্লি: দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রের ক্ষমতা দখলের পরেই কাশ্মীরের উপর থেকে সংবিধানের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল বিজেপির সরকার। এরপর মোদী সরকারের বড় পদক্ষেপ হচ্ছে নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন। সেই আইন নিয়ে অনেক বিতর্ক এবং আন্দোলন হয়েছে। করোনার কারণে কিছুটা থিতিয়ে গিয়েছিল সেই ইস্যু।
আরও পড়ুন- I-PAC কাণ্ডে ত্রিপুরা যাচ্ছেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
সেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন(CAA) এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার সংসদের নিম্নকক্ষে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এখনই কার্যকর করা হচ্ছে না নয়া নাগরিকত্ব আইন। যাবতীয় নিয়ম এবং বিধি প্রস্তুত করতে আরও ছয় মাস সময় চেয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- বিরোধী মুখ আপনিই, মমতাকে বার্তা সোনিয়ার
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে যায় সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তা আইনে পরিণত হয়। সংসদে বিল পাশ হয়ার পর থেকেই দেশ জুড়ে শুরু হয় অই আইনের বিরোধী বিক্ষোভ। যার জেরে অনেক বড় হিংসার ঘটনা ঘটে গিয়েছিল জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে। করোনার কারণে সেই আন্দোলনে ভাটা পরে। তবে ওই আইন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধের আক্রমণ জারি রেখেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
আরও পড়ুন- I-PAC কাণ্ডে ত্রিপুরা যাচ্ছেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
এরই মাঝে পশ্চিমবঙ্গ এবং বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যাদের মধ্যে ওই আইনের সঙ্গে ব্যাপকভাবে যুক্ত ছিল পশ্চিমবঙ্গ এবং অসম। দুই রাজ্যের নির্বাচনেই ওই আইন নিয়ে প্রচার চালানো হয়েছিল। অসমে বিজেপি জিতলেও বাংলা নিরাশ করেছে পদ্ম শিবিরকে। প্রচারে বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন যে করোনার টিকাকরণ শেষ হয়ে গেলেই ওই নয়া নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা হবে।
ওই আইন নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। যার জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তিনি জানিয়েছেন যে নাগরিকত্ব আইনের বিধিনিষেধ প্রস্তুত করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। সেই কারণে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের ৯তারিখ পর্যন্ত সময় চেয়ে সংসদের দুই কক্ষে আবেদন জানিয়েছে অমিত শাহের নেতৃতাধীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
আরও পড়ুন- বুধবার দুপুরে দলের সমস্ত সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অনেক জটিলতা তৈরি হয়েছে। দেশ জুড়ে অনেক আন্দোলন হয়েছে। সেই সকল বিক্ষোভের কারণেই পিছিয়ে গিয়েছে কেন্দ্র। এরই মাঝে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ে একটা বড় ধাক্কা লেগেছে বিজেপির। সেই কারণেই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে কেন্দ্র।