বারাণসী: সমীক্ষায় জ্ঞানবাপী মসজিদের অন্দরে শিবলিঙ্গ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদীদের৷ যদিও তা মানতে রাজি নন মুসলিম পক্ষের আইনজীবীরা৷ সমীক্ষাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি৷ সর্বোচ্চ আদালতে গৃহীত হয়েছে মামলাটি৷ আগামিকাল ১৭ মে মামলার শুনানি বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে৷
সোমবার সকালে হিন্দুত্ববাদীরা দাবি করেন, মসজিদের অন্দরে একটি জলাশয়ে শিবলিঙ্গ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে৷ আইনজীবী সুভাষনন্দন চতুর্বেদীর দাবি, এ দিন সকালে জলাশয় থেকে জল বের করার সময় শিবলিঙ্গটি দেখতে পাওয়া যায়৷ যদিও সেটি শিবলিঙ্গ কি না তা নিশ্চিত করেননি বারাণসীর জেলাশাসক কুশলরাজ শর্মা৷ তিনি বলেন, আদালত নিযুক্ত সমীক্ষক দলের কেউ মসজিদের অন্দরে সমীক্ষা নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করেননি৷ সমীক্ষার তথ্য কেবল আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে৷
অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি অবশ্য এই দাবির বিরোধিতা করেছে৷ কমিটির তরফে দুই আইনজীবী মিরাজুদ্দিন এবং অভয়নাথ যাদব জানান, ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে৷ মসজিদের অন্দরে শিবলিঙ্গ খুঁজে পাওয়া নিয়েও রাজনীতি শুরু হয়েছে৷ উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য টুইটে লেখেন, বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন জ্ঞানবাপীতে নিজের অস্তিত্বের কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন বাবা মহাদেব৷ পাল্টা টুইট করে হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়েইসি দাবি করেন, জ্ঞানবাপী মসজিদ ছিল এবং শেষদিন পর্যন্ত মসজিদই থাকবে৷
बुद्ध पूर्णिमा के अवसर पर ज्ञानवापी में बाबा महादेव के प्रकटीकरण ने देश की सनातन हिंदू परंपरा को एक पौराणिक संदेश दिया है।
— Keshav Prasad Maurya (@kpmaurya1) May 16, 2022
সমীক্ষার সময় মসজিদের ভিডিয়োগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন গণেশ শর্মা৷ তিনি বলেন, ‘সমীক্ষা নিয়ে আমাদের মুখ খোলা বারণ৷ শিবলিঙ্গ খুঁজে পাওয়া নিয়ে যে যা বলছে তার দায়িত্ব তাদের৷ আমি এটুকু বলতে পারি, সত্যের জয় হবে৷’ উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির লাগোয়া জ্ঞানবাপী মসজিদের অন্দরে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার নির্দেশ দেয় বারাণসীর জেলা আদালত৷ হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেই জমিতে গড়ে উঠেছে জ্ঞানবাপী মসজিদ৷ সেই জমি হিন্দুদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা করে স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ ভগবান বিশ্বেশ্বর নামে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন৷ মসজিদে হিন্দুত্বের ছাপ খুঁজতে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার দাবি জানানো হয়৷