কামারহাটি: কামারহাটিতে প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ তুঙ্গে উঠেছে। ক্ষোভ-বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্র নিজে। রবিবার রাতে রথতলায় এক কর্মিসভায় নাম না করে স্থানীয় সাংসদ সৌগত রায়কে রীতিমতো তুলোধোনা করেন মদন। তাঁর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা কামানোরও অভিযোগ আনেন মদন। তবে এ ব্যাপারে সৌগত রায়ের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মদনের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাননি কামারহাটি পুরসভার প্রশাসক গোপাল সাহাও। তাঁর অভিযোগ, গোপাল সাহা তাঁর অফিস প্রোমোটার চক্রের বৈঠকখানা করে তুলেছেন।
প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের বিক্ষোভ চলছে গত কয়েকদিন ধরে। কোথাও প্রার্থী বদল, কোথাও স্থানীয় নেতাদের গুরুত্ব না দিয়ে তালিকা তৈরি ইত্যাদি দাবিতে রোজই বিক্ষোভ আন্দোলন হচ্ছে। তবে রবিবার রাতে কর্মিসভায় মদনের ভাষণ সব কিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কাউকে নেত্রী বলে মানি না। হঠাৎ কেউ যদি এসে বলে আমি এক লাখ ভোটে জিতেছি। তাই আমি মুখ্যমন্ত্রী হব, এসব চলবে না।’ তাঁর অভিযোগ, মমতা আর অভিষেকের ফাঁক গলে কিছু এজেন্সি ঢুকে পড়েছে দলে। তারা নেতাদের মিসগাইড করছে। বিজেপি ও কংগ্রেসের দালাল কিছু নেতা দলের ক্ষতি করতে চাইছে। তিনি বলেন, ‘আমি কামারহাটিতে নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান। প্রার্থী তালিকা নিয়ে আমিই কিছু জানলাম না। কোথাকার কে টাকা খেয়ে প্রার্থী তালিকা করে দিল। একসময় ওই নেতা প্রিয়দার গ্রুপ করতেন। হঠাৎ তিনি চরণ সিংয়ের মন্ত্রিসভায় ঢুকে পড়লেন।’
মদন বলেন, ‘যে নেতা কাজুবাদাম-বটিকাবাব-বিরিয়ানি খেয়ে প্রার্থীর নাম দিয়েছেন সেই নেতার যদি সাহস থাকে তাহলে কামারহাটি কাছে বিটি রোড দিয়ে যাতায়াত করে দেখান। কামারহাটির মানুষ তাঁকে বুঝে নেবে।’ মদনের আক্রমণের নিশানায় যে সৌগত রায়, তা বুঝতে কারও কষ্ট হয়নি। যতবার তিনি নাম না করে সৌগতর প্রসঙ্গ তোলেন, ততবারই অনুগামীরা হাততালি দিয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন: WB Civic Polls: বিধায়ককে প্রার্থী করার দাবি, টায়ার জ্বালিয়ে জি টি রোড অবরোধ চাঁপদানিতে
মদনের হুঁশিয়ারি, ‘প্রার্থী তালিকা ঠিকঠাক না হলে কামারহাটিতে সব বন্ধ হয়ে যাবে। এবার মার হবে, মার। কোনও ‘মাই কা লালকে’ ছাড়া হবে না। অনেক ঠেকিয়েছি, এবার কোথা থেকে কে এসে মেরে দেব, তার দায়িত্ব মদন মিত্রের নয়’।