নয়াদিল্লি: ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় পুরভোট (KMC Election 2021)৷ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে আধা সামরিক বাহিনীকে (Central Force in Municipal Election) দিয়ে পুরভোট করানোর দাবি তুলেছেন বাংলার বিজেপি নেতারা (Bengal BJP) ৷ সেই দাবি জানিয়ে আজ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা৷ ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)৷ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একগুচ্ছ বিষয় নিয়ে দলের সাংসদদের কথা হয়েছে৷ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো৷ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের সুকান্ত মজুমদার বলেন, অনেক বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে৷ আমরা চাই পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক৷
একুশের নির্বাচনের পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে বিরোধী দলের কর্মী ও নেতাদের উপর ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলে বিজেপি৷ ভোট পরবর্তী সেই হিংসার তদন্ত করছে সিবিআই৷ পুরভোটে তেমন কিছু ঘটুক চায় না বঙ্গ বিজেপি৷ দলের নেতারা চাইছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে কলকাতা পুরভোট হোক৷ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে৷ দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভোটারদের মনে আস্থা জাগে৷ তাই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি৷ তার পরই আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যে আধা সামরিক বাহিনী পাঠনোর জোরাল আওয়াজ তুলেছেন সুকান্ত মজুমদার৷
আরও পড়ুন: Sitalkuchi Firing: সিআইডির সমনের পর জামিন চেয়ে আদালতে শীতলকুচির ৬ আধাসেনা
এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতি এবং ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ করেন সুকান্ত মজুমদাররা৷ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছিল৷ তার প্রেক্ষিতে দু’মাসের মধ্যে বিষয়টি পর্যালোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কোথায় কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে তা সবিস্তারে প্রধানমন্ত্রীকে জানান বিজেপি সাংসদরা৷ সেই সূত্র ধরে উঠে আসে এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি এবং সিবিআইকে দিয়ে তদন্তের দাবি৷ বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বাংলার সাংসদরা৷