কলকাতা: কে কে’র মৃত্যু নিয়ে জনস্বার্থ মামলার আবেদন৷ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি৷ জানা গিয়েছে, আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এই মামলার আবেদন জানিয়েছেন৷ কে কে’র মৃত্যুর তদন্তে সিবিআই চেয়েছেন তিনি৷
গত সপ্তাহে লাইভ কনসার্টে পারফর্ম করতে কলকাতায় এসে মৃত্যু হয় বলিউড সঙ্গীতশিল্পী কে কে’র৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ কিন্তু নজরুল মঞ্চের অব্যবস্থপনাকে অনেকেই কে কে’র মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন৷ আড়াই হাজার দর্শক বসার ক্ষমতা থাকা নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের সময় ঢুকে পড়েছিল সাত হাজার লোক৷ এসি ঠিক মতো কাজ না করার অভিযোগও ওঠে৷ তার উপর মঞ্চে চড়া আলোর উত্তাপ৷ অক্সিজেন লেভেল কমতে কমতে প্রায় তলানিতে৷ অনুষ্ঠান মঞ্চে বারবার ঘাম মুছতে থাকেন কে কে৷ এসি ঠিক মতো কাজ করছে না অভিযোগ করেছিলেন সঙ্গীতশিল্পী৷
অনুষ্ঠান মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কে কে৷ কুলকুল করে ঘামতে ঘামতে বলেছিলেন, ‘পিছওয়াড়া জ্বল রহা হ্যায়।’ অর্থাৎ তীব্র আলোর উত্তাপে শরীরের পিছনের দিক যেন জ্বলে যাচ্ছে। কয়েকটা আলো নিভিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। এসি কাজ করছে না। ভ্যাপসা গরম। দমবন্ধকর পরিস্থিতি। সাত হাজার দর্শকের শ্বাস-প্রশ্বাস। সঙ্গে উজ্জ্বল আলোর তাপ। গাইতে গাইতে এক সময় আচমকাই পিছিয়ে এলেন কে কে। চোখে-মুখে অসুস্থতার চিহ্ন। শরীর যেন একেবারে ছেড়ে দিয়েছে। সঙ্গের লোকজন ম্যানেজার শিল্পীকে নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে গেলেন নজরুল মঞ্চ ছেড়ে। হোটেলের দিকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর৷
আরও পড়ুন: Tapan Kandu HC: রাজ্যের আবেদন খারিজ, তপন কান্দু হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তে বহাল হাইকোর্ট