কালিম্পং: ২০১৭ সালে কালিম্পংকে (Kalimpong District) নতুন জেলা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)৷ ঘোষণা সত্ত্বেও গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রিশনের আওতায় রয়ে গিয়েছে কালিম্পং (Kalimpong GTA)৷ নেই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা৷ যে কারণে একাধিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এখানকার মানুষ৷ তাই জিটিএ থেকে কালিম্পংকে আলাদা করতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন সেখানকার বিধায়ক রুদেন সাডা লেপচা৷ রবিবার পাঁচ দিনের সফরে পাহাড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তার আগে কালিম্পং-এর বিধায়কের চিঠি ঘিরে পাহাড়ের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জলঘোলা৷
চিঠিটি ২২ মার্চের৷ তাতে কালিম্পং-এর নির্দল বিধায়ক রুদেন লেপচা লিখেছেন, জিটিএ-কে দার্জিলিং জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হোক৷ বরং জিটিএ থেকে কালিম্পংকে বিচ্ছিন্ন করে এখানে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু হোক৷ জেলা পরিষদ গঠন হোক৷ ২০১৭ সালে কালিম্পংকে নতুন জেলা ঘোষণার পর এখানকার মানুষ খুশি হয়েছিলেন৷ ওই সিদ্ধান্তে এটা প্রমাণিত হয়েছিল, সদিচ্ছা থাকলে সরকার চাইলে সব করতে পারে৷ কিন্তু পাঁচ বছরে তাঁরা আশাহত হয়েছেন৷ নতুন জেলা ঘোষণা করা হলেও বাকি সব জেলার মতো প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত কালিম্পং৷ বাহ্যিক কিছু পরিবর্তন ছাড়া যতটা উন্নতি এখানে এতদিনে হওয়ার কথা ছিল ততটা হয়নি৷
জেলার মর্যাদা পাওয়ার আগে দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত অন্যতম মহকুমা ছিল কালিম্পং৷ পাঁচ বছর আগে জেলা গঠন হয়েছে৷ তাই সংবিধান মেনে এখানে জেলা পরিষদ গঠনের দাবি জানিয়েছেন রুদেন লেপচা৷ তাঁর কথায়, আইন সংশোধন ছাড়াই জিটিএ-র অধীনে আছে কালিম্পং৷ তাই নতুন জেলা হয়েও এখানকার মানুষের অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি৷ জেলার অধিকাংশ এলাকা গ্রামীণ৷ ওই জায়গাগুলি উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত৷ যেহেতু এটি এখন আলাদা জেলা, তাই সরকারের সহযোগিতায় এখানেও সার্বিক উন্নয়ন শুরু হোক৷ জিটিএ-তে কালিম্পং থাকতে চায় না৷
আরও পড়ুন: Rampurhat Violence: পোড়া গন্ধ টপকে এখনও অক্সিজেন ঢুকছে না বগটুইয়ের তালা বন্ধ ঘরগুলোতে