কলকাতা: রাজ্য বিধানসভায় সোমবারের ঘটনা নিয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Biman Bose) সঙ্গে বৈঠক করতে চান রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar) জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার অধ্যক্ষকে লেখা এক চিঠিতে একথা জানিয়ে রাজ্যপাল ওই দিনের বিশৃঙ্খলা সম্পর্কে উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, ওই ঘটনায় গণতন্ত্রের মন্দিরের পবিত্রতা লঙ্ঘিত হয়েছে। এই ঘটনায় দু পক্ষেরই আলোচনায় বসে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল (Governor)।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1501172459353309184?s=20&t=Obqex_qlGHFqvFNHv_1EWw
ওই চিঠিতে রাজ্যপালের বক্তব্য, প্রতিবাদের অনেক গ্রহণীয় ধরণ আছে। ওইদিন বিরোধীরা শুরু থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু, শাসক পক্ষ যেভাবে বিশৃঙ্খলায় মদত দিল, তা অভাবনীয়। ধনখড়ের আরও অভিযোগ, শাসকদলের সদস্য এবং মন্ত্রীরা ওইদিন কার্যত তাঁকে ঘেরাও করে রাখেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে ছাপার অযোগ্য কথাবার্তাও শুনতে হয়েছে। শাসকদল যেভাবে সমস্ত প্রক্রিয়া স্তব্ধ করে দিয়েছে, তা অস্বাভাবিক। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, শিউলি সাহা, সাবিনা ইয়াসমিন, জ্যোৎস্না মান্ডি, বীরবাহা হাঁসদার মতো মন্ত্রীরা এবং বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র, রত্না চ্যাটার্জি, ঊষারানী মণ্ডল, অরুন্ধতী মৈত্র, অসীমা পাত্র, নয়না ব্যানার্জী, বীনা মণ্ডল, মঞ্জু বসু ও রহিমা মণ্ডল দুদিক থেকে রাজ্যপালের আসন ঘিরে রাখেন। এটিও অত্যন্ত অভাবনীয় বলে চিঠিতে অভিযোগ রাজ্যপালের। তাঁর আরও দাবি, অত্যন্ত সুকৌশলে এসব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: TMC State Committee: ৫ জেলার সভাপতি বদলে সংগঠনে রাশ টানলেন মমতা
রাজ্যপালের অভিযোগ পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও। তিনিও তাঁকে হুমকি দেন বলে দাবি রাজ্যপালের। অধ্যক্ষকে লেখা চিঠিতে ধনখড় জানান, সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাসে এই ঘটনা নজিরবিহীন। তিনি বিধানসভার সচিবকে নির্দেশ দেওয়ার পরও ঘটনার সময়ে মার্শালকে দেখা যায়নি। এসব নিয়ে আলোচনার জন্যই রাজ্যপাল অধ্যক্ষকে আগামী তিনদিনের মধ্যে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছেন।