কলকাতা: রাজ্যপালকে অপসারণের জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের বক্তব্য, এই মামলার কোনও ভিত্তি নেই। তাই আবেদন খারিজ করা হচ্ছে। আদালত মনে করছে, সংবিধানে রাজ্যপালকে যে অধিকার দিয়েছে, তাতে তিনি আদালতের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। সংবিধান বিরোধী কাজের অভিযোগে হাইকোর্টে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নামে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।
কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবী এই মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলায় পার্টি করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও রাষ্ট্রপতিকে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সংবিধান বিরোধী কাজের অভিযোগ করা হয়েছে আবেদনে। মামলার আবেদনে আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকারের অভিযোগ, রাজ্যপাল একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। রাজ্যপালের এহেন কাজের ফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো নষ্ট হচ্ছে।
মামলাকারী প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যপাল সংবিধান বহির্ভূত কাজ করছেন। এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে রাজ্যপাল কীভাবে সরকারি কাজে বাধা দান করেন? রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত একেবারে তুঙ্গে উঠেছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে স্বতন্ত্র প্রস্তাব আনেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সুখেন্দুশেখর রাজ্যসভায় ওই প্রস্তাব আনেন।
রাজ্যপাল যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে নষ্ট করছেন বলেও মামলার অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে। আদতে এই অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। মুখ্যমন্ত্রী শুধু রাজ্যপালকে নন, কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তুলে একাধিক বার সরব হয়েছেন। মামলাকারীর দাবি, অবিলম্বে রাজ্যপালকে তাঁর এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিক কলকাতা হাইকোর্ট।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কাউকেই রেয়াত করেননি রাজ্যপাল। নানা ইস্যুতে টুইট করে প্রকাশ্যেই রাজ্যের সমালোচনা করেছেন। রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই বলেও অভিযোগ করেছেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পালটা সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল। রাজ্যপালকে বিজেপি-র মুখপাত্র বলে খোঁচা দিতেও কুণ্ঠা বোধ করেনি বাংলার শাসকদল।