বেঙ্গালুরু: বাংলার বাইরে অন্য রাজ্যগুলিতে তৃণমূলকে বিরোধী শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন ভোট কুশলী (Political Strategist) প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)৷ সেই তিনি দিন দুয়েকের জন্য গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে৷ সূত্রের খবর, সেখানে তিনি কথা বলেছেন লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের (Lingayat Community) বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস এবং বিজেপি নেতাদের সঙ্গে৷ আর এতেই নয়া জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে৷ ত্রিপুরা, গোয়া, হরিয়ানা এবং মেঘালয়ের পর এবার কি তৃণমূলের পাখির চোখ কর্ণাটক (Karnataka)? অন্য দল থেকে বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে তৃণমূলের ‘ডেবিউ’ করাতে চান প্রশান্ত কিশোর?
আরও পড়ুন: Khela Hobe: বিজেপিকে ঠেকাতে এ বার মমতার ‘খেলা হবে’র অনুকরণে ‘খদেড়া হইবে’ স্লোগান অখিলেশের
একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে বেঙ্গালুরুর এক পাঁচতারা হোটেলে প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেস দলের একাধিক নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন৷ তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে এম বি পাতিলের৷ এই মুহূর্তে যিনি কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যনিবার্হী সভাপতি৷ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা ও তাঁর ছেলে এবং কর্ণাটক বিজেপির সহ সভাপতি বি ওয়াই বিজেন্দ্রর সঙ্গেও কথা বলেছেন পিকে৷ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার পর কর্ণাটকের ক্ষমতার অলিন্দ থেকে এখন অনেকটাই দূরে ইয়েদুরাপ্পা৷ অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে বিক্ষুব্ধ বিজেয়ন্দ্র নাকি বিজেপি ছেড়ে নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার কথা ভাবছেন৷
যদিও পিকের সঙ্গে সাক্ষাতের খবর ‘মনগড়া’ বলে উড়িয়ে দেন কংগ্রেস নেতা পাতিল৷ টুইটারে তিনি লেখেন, ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং মনগড়া খবর৷ ওই খবরের ছিটেফোঁটা সত্যি নয়৷’ রাজনৈতিক মহল জানিয়েছে, মেঘালয়ে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের’ পর দিল্লির কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে প্রশান্ত কিশোর আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তাই কেউ ভুলেও পিকের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করতে চাইবেন না৷ কংগ্রেসের শক্তিক্ষয়ের মূল কাণ্ডারি প্রশান্ত কিশোর এ ব্যাপারে দেশের এক ইংরেজি দৈনিককে জানিয়েছেন, ‘অনেক কিছু নিয়ে জল্পনা চলছে৷ তবে আমি এখন কলকাতাতেই আছি৷’