আপনি সুখি হন বা না হন আপনার প্রতি রাজ্য দেশের মধ্যে সবথেকে সুখী। দেশজুড়ে বেকারত্ব বাড়ছে, একাধিক রাজ্যে দুর্নীতি নিয়েও সরগরম। কোনও সরকারের জমানায় দেশে উন্নয়ন বা কি হল, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কী হবে– হাজার খানেক চিন্তা নিয়ে ঘুমোতে যান দেশবাসী। তবে এই দেশেই এমন এক রাজ্য আছে যেখানে মানুষ সবসময় হাসিখুশি থাকেন। হ্যাঁ সমীক্ষায় বলছে ভারতের (India) মধ্যে সবথেকে সুখী রাজ্য মিজোরাম (Happy State Mizoram)। ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (Management Development Institute) গুরুগ্রামের একটি গবেষণার নিরিখে মিজো রাজ্যের মুকুটে এই পালক।
দেশ বা রাজ্য আমার আপনার মতো হাস্যতে পারে না। তাহলে কী করে বুঝবেন সুখী কি না। জানেন কী সুখ কী ভাবে মাপা হয়? পার ক্যাপিটা জিডিপি, জনস্বাস্থ্য, আয়ু, সামাজিক ন্যায়, যাপনের স্বাধীনতা এবং দুর্নীতিহীনতা এই এককগুলির মাধ্যমে দেখে নেওয়া হয়, কেনও দেশ বা রাজ্য কতটা সুখী। সাম্প্রতিক সেই হ্যাপিনেস রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, দেশ সবচেয়ে সুখী রাজ্য।
ভারতের (India) মধ্যে সবচেয়ে সুখী রাজ্য (Happiest state) হল মিজোরাম৷ সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। পেশাগত, সামাজিক, পারিবারিক সমস্যা কাটিয়ে উন্নতির শিখরে এই রাজ্য। জনহিতৈষী প্রকল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ অধিকারেরে সমতা রয়েছে। মিজো সমাজে ধর্মের ভেদাভেদ নেই। বর্ণের ভেদাভেদ নেই। এ রাজ্যে বাবা মায়েরা শিশুদের উপর বেশি পড়ার চাপ দেয় না। এই রাজ্যে ১০০ শতাংশ মানুষই শিক্ষিত। এই রাজ্যের সমস্ত পড়ুয়াদের পড়াশোনার খরচ বহন করে রাজ্য সরকার।
অতিমারি পরবর্তী সময়ে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নেও এই রাজ্য এগিয়ে। অতীতে মিজোরামের লংটলাই ছিল অনগ্রসর একটি জেলা। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার ছিল মারাত্মক। সেই শিশুরাই এখন স্কুলে স্কুলে তদারকি করে ‘নিউট্রেশন গার্ডেন’। নিজের বিদ্যালয়ই হয়ে উঠেছে নিজের খামার। চালু হয়েছে ‘আমার স্কুল আমার খামার’ প্রকল্প কমেছে শিশুদের অপুষ্টিতে ভোগা। মিজো সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েরা ১৬-১৭ বয়স থেকেই কোনও না কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত। সবাই সব মানুষকে সম্মান করেন। কাজের মধ্যেও কোনও ছোট বড় মাপকাঠি নেই। পাহাড়ি এই রাজ্যে মানুষ খুব নমনীয়ও। এখানের মানুষের কোনও টেনশনই নেই। প্রকৃতি নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য এই রাজ্যে চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। সুন্দর পরিবেশের প্রভাব পড়ে তাই মানুষের মনে।