নয়াদিল্লি: সংসদের (Parliament Of India) কাজে বাধা এবং গরিমা নষ্টের অভিযোগে বাদল অধিবেশনে বিরোধী দলের ২০ জন সাংসদকে সাসপেন্ড (Suspend) করেছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু (Venkaiah Naidu)৷ শীতকালীন অধিবেশনে সাংসদদের বিরুদ্ধে ওই সাসপেনশনের নির্দেশ বহাল রাখতে চায় সরকার৷ বিভিন্ন সূত্রে খবর, ২০ জন সাংসদের সাসপেনশনের মেয়াদ বাড়াতে প্রস্তাব আনতে পারে কেন্দ্র৷ যা শুনে বিরোধীরা বলছেন, ভয় পেয়ে সরকার তাঁদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে৷ তাই সাসপেনশনের কথা বিবেচনা করছে৷
ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ড এবং কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা চেয়ে বাদল অধিবেশনে সংসদে হুলুস্থুলু কাণ্ড বাঁধিয়েছিলেন বিরোধী দলের সাংসদরা৷ বিজেপির অভিযোগ, ওই দিন সভার ভিতর টেবিলে উঠে, কালো কাপড় দেখিয়ে ফাইল ছুড়ে মারেন বিরোধী দলের সাংসদরা৷ সাংসদদের আটকাতে মার্শলদের ডাকা হয়েছিল৷ অভিযোগ, মহিলা মার্শলদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন সাংসদরা৷ অভিযোগ খারিজ করে সাংসদরা পাল্টা দাবি করেন, মার্শালরা তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে৷
এর পরই তৃণমূলের দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, মৌসম নূর, আবীর রঞ্জন বিশ্বাস, অর্পিতা ঘোষ-সহ শিবসেনা, বাম, আপ এবং কংগ্রেসের সাংসদদের উপর নেমে আসে সাসপেনশনের খাড়া৷ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তোগ দেগে তখন বলেছিলেন, দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এই প্রথম রাজ্যসভার সাংসদদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে৷ এটাকে গণতন্ত্রের হত্যা ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না৷
আরও পড়ুন: বিরোধীদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত সরকার: প্রধানমন্ত্রী
ওই ঘটনার পর নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগে সংসদ স্থগিত করে দেওয়া হয়৷ সংসদের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য কেন্দ্র আঙুল তোলে বিরোধীদের দিকে৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে সংসদের ঘটনার তদন্তের জন্য স্পেশাল কমিটি গঠনের অনুরোধ করেছিলেন৷ জানিয়েছিলেন, তদন্তের পর দোষী সাংসদদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক৷