চণ্ডীগড়: খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তা খুঁজতে রাজস্থানের উদয়পুরে চলছে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির৷ ঠিক তখনই পঞ্জাবে জোর ধাক্কা খেল কংগ্রেস৷ রাজ্যের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুনীল জাখর আচমকা দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন৷ শনিবার ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘গুড লাক অ্যান্ড গুড বাই কংগ্রেস৷’
৬৮ বছরের সদ্য প্রাক্তন কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, পঞ্জাবে দলের পতনের জন্য দায়ী দিল্লির নেতারা৷ ফেসবুক লাইভের ‘দিল কি বাতে’ নিশানা করেন হরিশ চৌধুরী, তারিক আনওয়ার এবং বিধানসভা ভোটের সময় রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হরিশ রাওয়াতকে৷ দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেও তিনি রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করেন৷ প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতিকে ‘ভালো মানুষ’ বলে জানান সুনীল৷ তাঁকে অনুরোধ করেন, ফের দলের রাশ নিজের হাতে তুলে নেওয়ার৷ যদিও চাটুকারদের থেকে তাঁকে সাবধান করে দেন৷
হাইকমান্ডের প্রতি তিনি যে বিরক্ত সেটা বোঝা গিয়েছিল পঞ্জাব বিধানসভা ভোটের আগে৷ তখন সিধু বনাম ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের দ্বৈরথে বিভাজিত কংগ্রেস৷ দুই নেতার গোষ্ঠীকোন্দল থামাতে কালঘুম ছুটে গিয়েছিল দলের শীর্ষস্তরের নেতাদের৷ তখন সিধুর পাশে দাঁড়িয়ে ক্যাপ্টেনকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বলে হাইকমান্ড৷ এরপর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় চরণজিৎ সিং চন্নিকে৷ কিন্তু তা মেনে নিতে পারেননি সুনীল জাখর৷ কেননা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তিনি অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন৷ তা না হওয়ায় চন্নিকে আক্রমণ করেন তিনি৷ মন্তব্য করেন, নীচু জাতির ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রী করা ঠিক হয়নি৷
আরও পড়ুন: Arvind Kejriwal: দিল্লির অগ্নিকাণ্ডে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ অরবিন্দ কেজরিওয়াল
সুনীলের এই মন্তব্যে চটে যান কংগ্রেসের দলিত নেতারা৷ তাঁকে সাসপেন্ড করার দাবি ওঠে৷ তবে সেই সময় সুনীলকে শোকজ করেই ছেড়ে দেয় কংগ্রেস৷ ভবিষ্যতে এই ধরণের মন্তব্য করা থেকে তাঁকে সাবধান করা হয়৷ এদিন ফেসবুক লাইভে সেই প্রসঙ্গ টেনে সুনীল বলেন, ‘ক্যাপ্টেনের পদত্যাগের পর রাজ্যের ৭৯ জন বিধায়কের কাছে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম জানতে চাওয়া হয়েছিল৷ ৪২ জনই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার নাম বলে৷ ১৬ জন সুখবিন্দর রান্ধওয়ার পক্ষে মত দেন৷ প্রীনিত কৌউরকে সমর্থন করেন ১২ জন বিধায়ক৷ নভজ্যোত সিং সিধু এবং চন্নিকে সমর্থন করেছিলেন যথাক্রমে ৬ এবং ২ জন বিধায়ক৷’ তবে মুখ্যমন্ত্রী হতে না পারলেও অধিকাংশ নেতা তাঁকে সমর্থন করেছিলেন, এটা ভেবেই তিনি খুশি৷