ধূপগুড়ি: জম্মুর সুড়ঙ্গে ধসে আটকে মৃত্যু হল ধূপগুড়ির পাঁচ বাসিন্দার৷ নিহতরা হলেন, সুধীর রায় (৩১), পরিমল রায় (৩৫), দীপক রায় (৩০), যাদব রায় (২৩) এবং গৌতম রায় (২২)৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম উদ্ধার হয় সুধীরের দেহ৷ তার ২৪ ঘণ্টা পর বাকি চারজনের দেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল৷ তাঁদের শনাক্ত করেন ওখানে থাকা অন্যান্য শ্রমিকরা৷ দেহগুলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ পরিবারের হাতে পরে দেহগুলি তুলে দেওয়া হবে৷ ইতিমধ্যে ধূপগুড়ি থেকে একজন কাশ্মীর রওনা দিয়েছেন দেহগুলি নিয়ে আসার জন্য৷
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামবন সুড়ঙ্গে ধস নামে৷ তখন সেখানে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা৷ ধসের জেরে ভিতরে আটকে পড়েন তাঁরা৷ এদিকে সুড়ঙ্গে আটকে থাকার খবর পেয়ে বিচলিত হয়ে পড়ে পরিবার৷ গ্রামের মানুষ ও আত্মীয় স্বজনরা নিখোঁজদের বাড়িতে ভিড় জমান৷ তারপর শুক্রবার সন্ধ্যায় ধ্বংসাবশেষ থেকে সুধীরের দেহ পাওয়া যায়৷ বাকিদের বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে করছিলেন অন্যান্য শ্রমিকরা৷ তাঁদের আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হয়৷ জানা গিয়েছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে কাজের সন্ধানে ধূপগুড়ি থেকে ১০-১২ জনের একটি দল জম্মু ও কাশ্মীর যায়৷ তারপরই মর্মান্তিক সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনায় কয়েকজনের মৃত্যু হল৷