কলকাতা: হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ মেয়র ফিরহাদ হাকিম৷ ওই ঘটনা নিয়ে সোমবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছিল কলকাতা পুরসভা৷ সূত্রের খবর, সেখানে মেজাজ হারান মেয়র৷ বৈঠক ছেড়ে সটান বেরিয়ে যান তিনি৷ মেয়রের অনুপস্থিতিতে বৈঠক শেষ করেন নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং৷ পরে তিনি জানান, হরিদেবপুরের দুর্ঘটনার জন্য কলকাতা পুরসভা দায়ী নয়৷ পুর কর্তাদের মতে, ওই খুঁটিতে বেআইনিভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিল৷ কাছেই একটি জায়গায় নির্মাণ কাজ হচ্ছে৷ সম্ভবত সেখানে আলোর বন্দোবস্ত করতে বেআইনিভাবে ওই খুঁটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়েছিল৷ পুর কর্তাদের থেকে প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়ে তারক সিং জানান, এব্যাপারে আরও অনুসন্ধান চালানো হবে৷
রবিবার সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টির পর জলমগ্ন রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র নিশীথ যাদব৷ প্রকাশ্যে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, জলমগ্ন রাস্তা দিতে যেতে যেতে একটি খুঁটিতে হাত লেগে যায় তার৷ এরপরই রাস্তায় পড়ে যায় নিশীথ৷ পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ এই ঘটনার পরই কলকাতা পুরসভা ও সিইএসসির মধ্যে শুরু হয় দায় ঠেলাঠেলি৷ কলকাতা পুরসভা প্রথমেই জানিয়ে দেয়, ওই বাতিস্তম্ভ তাদের নয়৷ একই বক্তব্য সিইএসসির৷ তারা জানায়, হরিদেবপুরে গলির ভিতর ওভারহেড তার সহ তাদের কোনও বাতিস্তম্ভ নেই৷
পরে জানা যায়, ওটি একটি টেলিফোন খুঁটি৷ তখন প্রশ্ন ওঠে, টেলিফোনের খুঁটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ এল কোথা থেকে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পুর কর্তাদের নজরে নির্মাণকাজের বিষয়টি সামনে আসে৷ তারক সিং এদিন বলেন, পুরসভা নিকাশি বিভাগ বা আলো বিভাগ কোনওভাবেই ওই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী নয়৷ যদি জল জমে ইলেকট্রিফিকেশন হয়ে থাকত তাহলে ওই কিশোর কখনই জলে হেঁটে টেলিফোন পোস্টটির কাছে পৌঁছতে পারত না৷ তাছাড়া ওই টেলিফোন পোস্টটিতে কলকাতা পুরসভার কোনও বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা নেই৷
আরও পড়ুন: KMC PAC: কলকাতা পুরসভার পিএসি কমিটির চেয়ারপার্সন সিপিআইয়ের মধুছন্দা দেব