কলকাতা: বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে নানা রহস্য। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও তার অনেক কিছুই আমাদের অনেকেরই অজানা। মেক্সিকোর টিলটেপেক নামের একটি গ্রামের সবাই অন্ধ। এক আজব ধরনের গ্রাম। যেই গ্রামের সবাই দৃষ্টিহীন। হ্যাঁ। এমনকী সেখানকার পশুরাও। যে শিশুরা ভূমিষ্ঠ হয়, তাদের প্রথম দৃষ্টিশক্তি থাকলেও, বড়ো হয়ে ওঠার পর তাঁদেরও দৃষ্টিশক্তি চলে যায় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কেন ঘটে এমন আজব ঘটনা? কী এমন রহস্য অথবা অভিশাপ লুকিয়ে রয়েছে এই গ্রাম জুড়ে।
মধ্য আমেরিকার দেশ মেক্সিকোর টিলটেপেক গ্রামে বাস করেন জাপোটেক নামের এক উপজাতী গোষ্ঠী। দেখলে আর পাঁচটা গ্রামের মতোই লাগবে দেখতে এই গ্রামটিকে। সাজানো-গোছানো ঘর রয়েছে, রয়েছে সবুজ গাছগাছালিও। পাশাপাশি বেশ মনোরম পরিবেশও থাকে। তাহলে কেন এই প্রতিবন্ধকতা?
আরও পড়ুন: Ramayana | AI Images | কেমন দেখতে ছিল রামের অযোধ্যা? দেখালো এআই
গ্রামে বাস করেন ৩০০ জনের মতো মানুষ। ঘর রয়েছে ৭০টি। ধরে নেওয়া যেতে পারে ৭০ পরিবারে বাস ৩০০ জনের। স্বাভাবিক পরিবেশ থাকলেও তাঁরা কেউই স্বাভাবিক জীবনে নেই। প্রত্যেকের জীবনে অন্ধত্বের অভিশাপ লেগে রয়েছে। কারো দৃষ্টিশক্তি নেই। গ্রামবাসীরা মনে করেন দেব-দেবী বা কালো শক্তির অভিশাপেই এমনটা হয়েছে। আবার কিছু গ্রামবাসী বিশ্বাস করেন লাবজুয়েলা নামের এক ধরনের স্থানীয় গাছ এই একগ্রামে অন্ধত্বের জন্য দায়ী। ‘শয়তান গাছে’র কারণেই কালো দুঃস্বপ্নে বন্দি টিলটেপেক।
এদিকে বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই গ্রামের বাসিন্দাদের দৃষ্টিশক্তি হারানোর পিছনে রয়েছে এক ধরনের মাছি। জঙ্গলে ঘেরা এই গ্রামে বিষাক্ত মাছির উপদ্রব রয়েছে। যা কামড়ালে যেকোনো প্রাণী দৃষ্টিশক্তি হারায়। এই মাছির বিষেই অন্ধকার নেমে এসেছে গ্রামে। মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু বা অন্যান্য প্রাণীও এ গ্রামে দৃষ্টিশক্তিহীন।