আসানসোল: পরনে খাদি উর্দি৷ ওই অবস্থায় রাস্তায় শুয়ে এক পুলিস কর্মী৷ কখনও তাঁর মুখে হাসি৷ পরক্ষণেই উধাও সেই হাসি৷ আবার কখনও উদাস মুখে চেয়ে আকাশ পানে৷ পুলিস কর্মীর শরীরী ভাষাই বলে দিচ্ছিল, মদ খেয়ে বোধবুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছেন৷ নইলে আদালত চত্বরে ওমন ভাবে কেউ শুয়ে থাকে৷ পুলিস কর্মীকে দেখতে সেখানে ভিড় জমান বহু মানুষ৷ কেউ কেউ উর্দিধারীকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু পুলিস কর্মী নিজেই উঠে দাঁড়াতে চাইছিলেন না৷ ততক্ষণে খবর পেয়ে থানা থেকে চলে আসে পুলিস৷ আদালত চত্বর থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় থানায়৷ স্থানীয়রা তখন নিজেদের মধ্যে বলাবলি শুরু করে, চাকরিটা থাকলে হয়৷
বুধবার সকালে আসানসোল আদালত চত্বরের সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল৷ মদ্যপ অবস্থায় ডিউটিতে যোগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই পুলিস কর্মীর বিরুদ্ধে৷ সেই অবস্থায় আসানসোলের আদালতে কাজে যোগ দেন তিনি৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, নেশায় বুঁদ ওই পুলিস কর্মী কাণ্ড জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন৷ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারছিলেন না৷ দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় শুয়েছিলেন৷ খবর চাউর হতে ওই পুলিস কর্মীকে দেখতে আদালত চত্বরে ভিড় জমান কৌতূহলী মানুষ৷ খবর পেয়ে ছুটে আসে আসানসোল সাউথ থানার পুলিস৷ কোনওরকমে ওই পুলিস কর্মীকে তুলে তারা নিয়ে যায় প্রিজন ভ্যানে৷ কিন্তু গাড়িতেও বসানো যাচ্ছিল না তাঁকে৷ তাই গাড়ির সিটে শুইয়ে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়৷
অভিযুক্ত পুলিস কর্মীর আচরণের তীব্র নিন্দা করেছে আসানসোল বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বাণীব্রত মণ্ডল৷ তিনি বলেন, ‘এই ধরণের কার্যকলাপে পুলিসের বদনাম হয়৷ আগামিদিনে এই ঘটনা আর যাতে না ঘটে তার জন্য পুলিসকে সতর্ক ও সাবধান হতে হবে৷’ এলাকার মানুষও হতবাক৷ স্থানীয় এক বিক্রেতা জানিয়েছেন, মদ খেয়ে পুলিসই যদি এরকম আচরণ করে তাহলে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করবে কে? জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পুলিস কর্মীর নাম সন্তোষ কুমার৷ আসানসোল পুলিস লাইনে পোস্টিং তাঁর৷ নেশা করে কেন তিনি আদালতে গিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস৷
আরও পড়ুন: Cyclone: শক্তি বাড়িয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড়, ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাংলায়