কলকাতা: মানুষের তিন মৌলিক চাহিদার মধ্যে রয়েছে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান (Home)৷ বাঙালি (Bengali) মানেই ভাত (Rice) প্রিয়। যতই তারা ইন্ডিয়ান (Indian), চাইনিজ খাক না কেন দিনশেষে তাদের পছন্দের খাবার ভাত। কেউ কেউ আছেন সকালে হোক বা দুপুরে অথবা রাতে তিন বেলাতেই ভাত খান।
অন্নের কথা মাথায় আসলেই প্রথমে আসে ভাতের কথা। সারাদিন এত খাটা- খাটনির তো একটাই কারণ। আর তা হল পেটের ভাত জোগাড় করা নিজের এবং পরিবারের জন্য। এই ভাতের জন্য বহু লড়াইয়ের কথা আমরা দেখেছি এবং শুনেছিও। এত পরিশ্রম, এত কষ্ট সবই তো ভাত জোগাড়ের জন্যই, তাই না?
আরও পড়ুন: Animal Vs Sam Bahadur | ডিসেম্বরে রণবীর-ভিকির বক্সঅফিস ডুয়েল
কথিত আছে, ঈশ্বরী পাটনী চেয়েছিলেন সন্তান যেন আমার দুধে-ভাতে বেঁচে থাকে। এই ভাতের জন্যই যুগে যুগে হয়ে কঠিন থেকে কঠিনতম লড়াই৷ দু-মুঠো ভাতের জন্য মানুষ কী কী না করেছেন৷ নষ্ট হয়ে যাওয়া ভাত ফেলে না দিয়ে সেটাকে আজও পান্তা বানিয়ে খায় মানুষ৷ বাড়িতে চাল ফুরিয়ে গেলে চাল শেষ-এমনটা বলা হয় না কখনওই৷ কারণ মনে করা হয় এতে গৃহস্থের অকল্যাণ হতে পারে৷
একইরকম ভাবে ঘরে চাল নেই বা চাল ফুরিয়ে এসেছে বোঝাতে, ‘চাল বাড়ন্ত’ শব্দ বন্ধের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর সঙ্গে একটি লোকবিশ্বাসও জড়িয়ে আছে। মনে করা হয়, গৃহস্থের চালের পাত্র ফাঁকা হয়েছে কিংবা চাল শেষ হয়ে গেছে এই কথা শুনলে সংসারে স্বচ্ছলতা চলে যেতে পারে। তাই চাল শেষ হয়েছে এটা না বলে বিপরীতার্থক ‘চাল বাড়ন্ত’ শব্দবন্ধের প্রয়োগ করা হত, যাতে গৃহস্থের অকল্যাণ না হয়। চাল বাড়ন্ত কথাটির অর্থ প্রচুর আছে৷