সোনারপুর: প্রার্থিতালিকায় নাম নেই রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর কার্তিক বিশ্বাসের৷ দলের সিদ্ধান্তে অপমানিত কার্তিক বিশ্বাস নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ বলেন, ‘কার সিদ্ধান্তে এটা হল? আমাকে অপমানিত করা হয়েছে৷’ এর আগে কলকাতা পুরভোটের সময় টিকিট না পেয়ে তৃণমূলের তিন বিক্ষুব্ধ কর্মী নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার কথা ঘোষণা করেছিলেন৷ দলের অনুরোধে একজন প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নিলেও বাকি দু’জনকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল৷ রাজ্যের বকেয়া ১০৮টি পুরসভার ভোটেও দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে লড়াইয়ের তোড়জোর শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধরা৷ তাদেরও বহিষ্কারের মুখে পড়তে হবে কি না সেটাই দেখার৷
বৃহস্পতিবার রাজ্যের বকেয়া পুরসভাগুলির ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়৷ তার পরের দিনই সবকটি পুরসভার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল৷ কিন্তু তালিকা প্রকাশের পর থেকে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে অসন্তোষ৷ কোথাও প্রার্থী বদলের দাবি উঠেছে, কোথাও প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় রাস্তা অবরোধ-বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে৷ কেউ কেউ দলবদল করে কংগ্রেসেও চলে গিয়েছেন৷ আবার অনেকে নির্দল হিসেবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন কার্তিক বিশ্বাস৷ এবার তাঁর পরিবর্তে মোফাজন হোসেন ওরফে ভুলুকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল৷ দলের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনিবার কামালগাজি রাস্তার মিশন পল্লি মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কার্তিকের অনুগামীরা৷ তাঁদের দাবি, কার্তিক বিশ্বাসকে টিকিট দিতে হবে৷ ওই বিক্ষোভ কর্মসূচির পরই বিদায়ী কাউন্সিলর জানিয়ে দেন, তিনি নির্দল হয়ে ভোটে লড়বেন৷ সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ঝরে পড়ে৷ তাঁর অভিযোগ, ‘টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি হচ্ছে৷’
আরও পড়ুন: Nadia TMC: শান্তিপুরে বিধায়কের বাবাকে পুরভোটের টিকিট, ‘প্রার্থী পছন্দ নয়’ পোস্টার এলাকায়