কলকাতা: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে একটি ধর্ষণের ঘটনাও লজ্জাজনক৷ হাঁসখালির ধর্ষণ নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতিতে সৌগত রায়ের ওই বিস্ফোরক মন্তব্যে আরও আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে৷ বর্ষীয়ান সাংসদের মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে দল৷ যদিও মুখ্যমন্ত্রীকে টেনে এনে আক্রমণ করাটা বাঞ্ছনীয় নয় বলে প্রতিক্রিয়া দেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ এ সবের মধ্যে আগের মন্তব্য থেকে সরে না এসে বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ এবার জানালেন, ‘অন্যায়কে অন্যায় বলা দরকার৷ না বলাটা বঙ্গ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে৷’
বাঙালি কেন প্রতিবাদ করতে ভুলে যাচ্ছে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মন্তব্যটি করেন সৌগত রায়৷ তিনি বলেন, ‘রাজনীতি বাদ দিলেও অন্যায়কে অন্যায় বলার দরকার৷ না বলাটা বাংলার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে৷ ঊনবিংশ শতাব্দীতে রামমোহন সতীদাহের বিরুদ্ধে, বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহের পক্ষে যে আওয়াজ তুলেছিলেন, সেখান থেকে আজকের বাঙালি কোথায় ভাবতে হবে৷ নারী নিগ্রহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মহল কোথায় হচ্ছে? আমি মনে করি হওয়া উচিত৷’
হাঁসখালির ধর্ষণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সামনে আসে সৌগত রায়ের মন্তব্য৷ হাঁসখালির নির্যাতিতা সম্পর্কে মমতা বলেছিলেন, ‘আপনি রেপ বলবেন, না কি প্রেগনেন্ট বলবেন, না কি লাভ অ্যাফেয়ার্স বলবেন.. মেয়েটিক লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল৷ বাড়ির লোকেরা সেটা জানত৷ প্রতিবেশীরা সেটা জানত৷ এখন যদি কোনও ছেলেমেয়ে প্রেম করে সেটা আমার পক্ষে আটকানো সম্ভব নয়৷’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক ক্ষেত্র থেকে বিভিন্ন রকম মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে৷
আরও পড়ুন: Balurghat Student: দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে মেধার জয় বালুরঘাটের যুবকের