কলকাতা: ঝুলন্ত কেবল তার না সরানো পর্যন্ত আর নতুন তার লাগানো যাবে না বলে টেলিকম অপারেটরদের সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা পুরসভা৷ মঙ্গলবার কলকাতার ২৭টি টেলিকম সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সি৷ তিনি জানান, জিয়ো, টাটা, এয়ারটেল বা ভোডাফোনের মতো সংস্থাগুলির সঙ্গে মেয়রের বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, মাটির নীচ দিয়ে কেবল নিয়ে যেতে হবে৷ সেই সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে৷ কোনও সংস্থা উপর দিয়ে তার লাগাতে পারবে না৷
দিন কয়েক আগে মেয়র ফিরহাদ হাকিম কেবল অপারেটরদের হুঁশিয়ারি দেন, তিনদিনের মধ্যে সমস্ত ঝুলন্ত তার সরিয়ে দিতে হবে৷ কিন্তু মেয়রের সেই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই শহরে এখনও ঝুলন্ত তারের জঙ্গল দেখা যাচ্ছে৷ যদিও মেয়র পারিষদের দাবি, মেয়রের এই হুমকিতে কাজ হয়েছে৷ প্রথম ধাপে প্রায় ৩০০ কিমি অব্যবহৃত তার সরিয়ে ফেলা হয়েছে৷ তিনি জানান, আগামী ১৫ দিনে আরও ৩০০ কিমি তার সরিয়ে ফেলতে হবে৷ তার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলররা এবং পুলিস অফিসাররা পুরসভাকে সাহায্য করবেন৷
ইতিমধ্যে লালবাজারে চিঠি লিখে কেবল অপারেটরদের সঙ্গে পুলিসকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করা হয়েছে৷ মেয়র পারিষদ আরও জানান, কোন জায়গা থেকে কত তার সরানো হল টেলিকম সংস্থাগুলি তার রিপোর্ট পুলিস এবং পুরসভাকে দেবে৷ সেরকমই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে টেলিকম সংস্থাগুলিকে৷ সন্দীপরঞ্জন বক্সির বক্তব্য, রাতে কোনও কাজ করা যাবে না৷ যা করার করতে হবে দিনেরবেলায়৷ বৈঠকে হাজির অল বেঙ্গল কেবল টিভি অ্যান্ড ব্রডব্যান্ড অপারেটরস ইউনাইটেড ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক চন্দ্রনাথ পাইন বলেন, ‘আমরা কলকাতা পুরসভার সহযোগিতা পাচ্ছি৷ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, অনেক বড় সংস্থার তার উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ অথচ তাদের মাটির নীচ দিয়ে তার নিয়ে যাওয়ার কথা৷ এছাড়া সমস্ত তারে কোম্পানির ট্যাগ লাগাতে বলা হয়েছে৷ যাতে কাজ করার সময় সহজে চিহ্নিত করা যায়৷ আর যেসব তারে ট্যাগ থাকবে না সেগুলি কেটে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা৷’ বুধবার আবার টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মেয়র পারিষদ৷
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: হারানো টোটোর টাকা ফেরত চেয়েছিলেন মালিক, সালিশি সভা থেকে ফিরে আত্মহত্যা চালকের