সিউরি: বীরভূম জেলা বিজেপিতে অবক্ষয় অব্যাহত৷ এবার পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা বীরভূম সাংগঠনিক জেলা কমিটি সদস্য ফণিরঞ্জন রায়ের৷ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে পদ ছাড়ার কথা জানান তিনি৷ ইতিমধ্যে জেলা নেতৃত্বের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান ফণিরঞ্জন৷
গত কয়েকদিন ধরে বীরভূম জেলা বিজেপিতে দলীয় পদ ছাড়া শুরু করেছেন নেতারা৷ তাৎপর্যপূর্ণভাবে সকলেই সোশাল মিডিয়াতেই পদত্যাগের কথা জানাচ্ছেন৷ কিছুদিন আগে দুবরাজপুরের বিজেপি শহর মণ্ডল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন করুণাময় মুখোপাধ্যায়৷ তাঁরও আগে জেলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল ফেসবুক পোস্টে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে চুপচাপ বসে যাওয়ার বার্তা দেন৷ ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘জেলা থেকে ব্লক কমিটি আমার সঙ্গে কথা না বলেই কমিটি গঠন করেছে। তাই ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থক ও কার্যকর্তারা আমাকে যারা ভালোবাসেন, তারা চুপচাপ বসে যান।’
পরপর নেতারা পদ থেকে সরে যাওয়ায় দলের অন্দরের বিদ্রোহকে ইঙ্গিত করছে বলে মত তৃণমূলের৷ সদ্য পদত্যাগী ফণিরঞ্জনের বক্তব্যে উঠে আসে দলের প্রতি ক্ষোভ৷ তিনি জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বুক চিতিয়ে দলের জন্য লড়াই করেছিলেন৷ বিধানসভা ভোট পরবর্তীতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়৷ কিন্তু তারপরও দল মূল্যায়ন করেনি বলে অভিযোগ৷ তিনি আরও জানান, জেলা সভাপতিকে অনেকবার বলার চেষ্টা করেছেন৷ কিন্তু তিনি কোনও কথা শুনতে চাননি৷ রাজ্য সভাপতি বীরভূমে এসেছিলেন তখনও তিনি বলার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু শোনেননি৷ দুধকুমার মণ্ডলের সঙ্গেও দলের কথা বলা উচিত ছিল বলে মনে করেন ফণিরঞ্জন৷ তবে অন্য দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন৷
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। তার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে বিজেপিতে ব্যপক ভাঙন শুরু হয়েছে। জেলায় জেলায় গণইস্তফা দিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। রাজ্য সভাপতি বদল করেও বিদ্রোহ থামানো যায়নি।
আরও পড়ুন: Mamata Asansol: মুখ্যমন্ত্রীর আসানসোল সফর ঘিরে তৎপরতা তুঙ্গে, সভাস্থল খতিয়ে দেখলেন আইনমন্ত্রী