কলকাতা: রাজ্য বিজেপিতে গোষ্ঠী কোন্দল বেড়েই চলেছে। এবার দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল খোদ রাজ্য বিজেপির সদর দফতরের সামনেই। মুরলীধর সেন লেন-সহ উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে। অমিতাভর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে দক্ষিণ কলকাতাতেও। কোনও পোস্টারে অমিতাভকে পিকের টিমের দালাল বলা হয়েছে। কোথাও আবার লেখা হয়েছে অমিতাভ চক্রবর্তী হঠাও, বিজেপি বাঁচাও। এই সব পোস্টার-ফেস্টুনের নীচে লেখা রয়েছে, সারা রাজ্যের বিজেপি বাঁচাও, কর্মী এক হও।
বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দলের অন্দরে কার্যত গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। নতুন বিভিন্ন কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় বহু মতুয়া বিধায়ক ও নেতা দলের নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। শান্তনু আবার মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাতিপতিও বটে। তাঁর নেতৃত্বে রীতিমতো বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। সোমবারই বনগাঁর গোপালনগরে দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি হরিশঙ্কর সরকারের বাড়িতে চড়ুইভাতির আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেও জড়ো হয়েছেন বিজেপির একাধিক বিক্ষুব্ধ নেতা ও বিধায়ক।
এর আগে বনগাঁর বিভিন্ন এলাকাকেও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অমিতাভর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। পোস্টার দেখা যায় বিভিন্ন লোকাল ট্রেনের কামরাতেও। ওই সব পোস্টারেও অমিতাভের বিরুদ্ধে মহিলাপ্রীতি, আর্থিক দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধদের মূল অভিযোগ গোপনে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগের। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গেও অমিতাভর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের অভিযোগ। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়ও অনেক দিন ধরেই বিজেপির ক্ষমতাসীন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে অভিযোগ করে আসছেন। বস্তুত বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর থেকেই বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল একেবারে রাস্তায় নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: Tathagata Roy: রাজ্যের ট্যাবলোকে অনুমোদনের আবেদন তথাগত রায়ের
বিজেপির সেই কোন্দলেরই নবতম সংযোজন সোমবার দেখা গেল কলকাতা শহরের বিভিন্ন এলাকায়। দলের রাজ্য দফতরের আশপাশ সহ উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ তল্লাট অমিতাভর বিরুদ্ধে পোস্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে অমিতাভর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।